কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গের আশঙ্কা
মেহেরপুরে অতিবর্ষণ ও তীব্র গরমের কবলে মরিচ গাছ
প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গোলাম মোস্তফা, মেহেরপুর
মেহেরপুর জেলায় এবার তীব্র গরম ও অতিবর্ষণের কবলে পড়েছে মরিচ চাষ। বৃষ্টির পর গরমের কারণে পচা রোগ লেগে মরিচ গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। বাজারে মরিচের দাম ভালো পেলেও ফলন না পাওয়ায় হতাশ চাষি। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। লাভজনক চাষ হিসেবে মেহেরপুরের চাষিদের কাছে জনপ্রিয় মরিচ চাষ। কৃষি বিভাগের হিসেবে জেলায় এবার মরিচের আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে। যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০০ হেক্টর বেশি। গত বছর ভালো লাভবান হওয়ায় এবার চাষিরা বেশি পরিমাণে মরিচের আবাদ করেন। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও গরমের কারণে কপাল পুড়েছে মরিচ চাষিদের। মরিচের চারা রোপণের সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছ ভালো হয়েছিল। কিন্তু জমি থেকে মরিচ তুলে বাজারজাত করার এই মুহূর্তে বিরূপ আবহাওয়ায় গাছে দেখা দিয়েছে পচা রোগ। শুকিয়ে মরে যাচ্ছে মরিচ গাছ।
সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মরিচ চাষি জাহিদ জানান, এবার ২৩ শতাংশ জমিতে মরিচের চাষ করেছেন। বর্তমানে অধিকাংশ মরিচ গাছে রোগ লেগে কুকড়ে যাচ্ছে। ফুল-ফল কিছুই টিকিয়ে রাখতে পারছেন না। মরিচ গাছে কোনো ওষুধ স্প্রে করে কাজ হচ্ছে না। এবার বাজারে মরিচের দাম খুব ভালো থাকায় গাছ টিকিয়ে রাখতে বিভিন্নভাবে পরিচর্যা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি জেলার অধিকাংশ মরিচ চাষির।
সদর উপজেলার আমঝুপি বস্নকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, মরিচ গাছ টিকিয়ে রাখতে জৈবসার ব্যবহারসহ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। শীতের ভাব এলে যে গাছ টিকে যাবে সেখান থেকে চাষিরা মরিচের ভালো ফলন পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচ গাছের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে সুষমমাত্রায় সার ও ঠিকমতো ওষুধ স্প্রে করলে এই পরিস্থিতি কেটে যাবে এবং চাষি ভালো ফলন পাবেন। বাজারে মরিচের ভালো দাম আছে। ফলে চাষিরা লাভবান হবে।