পুলিশের ফেরত দেওয়া টাকা পেল গুলিতে পা হারানো দুই শিবির নেতা

যশোরের চৌগাছায় পুলিশের ফেরত দেওয়া টাকা পেল পুলিশেরই গুলিতে পা হারানো দুই শিবির নেতা। শনিবার চৌগাছা কামিল মাদ্রাসা অডিটরিয়ামে শিবিরের এক কর্মী সমাবেশের মাধ্যমে তাদের হাতে এই টাকা তুলে দেওয়া হয়। জানা যায়, ২০১৬ সালের উপজেলা শিবিরের সভাপতি স্বরূপদাহ গ্রামের আতিকুর রহমানের বাসা থেকে একটি নোটবুক উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত নোটবুকে শিবিরকে মাসিক আর্থিক সহযোগিতাকারীদের নামের একটি তালিকা ছিল। সে তালিকায় অন্যদের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক পাবলিক লিমিটেডের চৌগাছা শাখার কয়েকজন অফিসারের নাম শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর শিবিরের অর্থসহযোগিতাকারী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে নাশকতা মামলার হুমকি দিতে থাকে চৌগাছা থানার ওসিএম মসিউর রহমান, সেকেন্ড অফিসার আকিকুল ইসলাম ও এসআই মোমিনুর রহমান। এক পর্যায়ে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে তারা ৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। অনেক দেনদরবারের পর তিন লাখ টাকার বিনিময়ে নাশকতা মামলা থেকে রেহাই পান ব্যাংক কর্মকর্তারা। এদিকে ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট উপজেলা শিবিরের সভাপতি নারায়ণপুর গ্রামের রুহুল আমিন ও সেক্রেটারি চুটারহুদা গ্রামের ইসরাফিল হোসেনকে আটক করে। পরের দিন ৪ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে পুলিশ তাদের পায়ের হাঁটুতে গুলি করেন। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা রুহুল আমিন ও ইসরাফিলের গুলিবিদ্ধ পায়ের হাঁটুসহ কেটে ফেলে দেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইসলামী ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তা সে সময় উৎকোচ গ্রহণকারী তিন কর্মকর্তাকে তিনদিনের মধ্যে টাকা ফেরতের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বর্তমান কর্মস্থল ঘেরাওয়ের হুমকি দেয়। আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উৎকোচ গ্রহণের ৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ফেরত পাওয়া ৩ লাখ টাকা পা হারানো রুহুল আমিন, ইসরাফিল হোসেন ও অসুস্থ শিবির নেতা মফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন।