ইন্দুরকানী উপজেলার নাম জিয়ানগর পুনর্বহালের দাবি

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার নাম পরিবর্তন করে আগের নাম অর্থাৎ 'জিয়ানগর' নাম পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ দাবির সপক্ষে জিয়ানগর উপজেলার সব ইউনিয়নের তিন হাজার চারজন নাগরিকের স্বাক্ষরযুক্ত এক স্মারকলিপি গতকাল স্থানীয় সরকার, পলস্নী-উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বরাবর প্রদান করা হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী। এলাকাবাসীর এ দাবিতে বলা হয়, বিগত ৪-দলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালীন সংসদ সদস্য আলস্নামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০২ সালের ২৭ মার্চ প্রশাসনিক পুনর্গঠন ও সংস্কারের জন্য জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ৮৭তম বৈঠকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থানাকে 'জিয়ানগর' উপজেলা নামে নামকরণের প্রস্তাব আনা হয়। এরপর ২০০২ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে পিরোজপুর সদর উপজেলার পত্তাশী, পারেরহাট, ও বালিপাড়া- এই ৩টি ইউনিয়নের ৯৪.৬০ বর্গ কিমি আয়তন এলাকা নিয়ে জিয়ানগর উপজেলা নামে একটি নতুন প্রশাসনিক উপজেলা গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সিদ্ধান্তের বলে ২০০২ সালের ২১ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্থানীয় জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে ইন্দুরকানী সফর করে ইন্দুরকানী কলেজ মাঠে এক জনসভায় ইন্দুরকানী থানাকে জিয়ানগর উপজেলা নাম ঘোষণা করার শুভ উদ্বোধন করেন। পরে ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিকারের ১১৩তম সভায় জিয়ানগরের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ইন্দুরকানী থানার নামে নামকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ৮ ফেব্রম্নয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। বিগত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থায় আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীরা এই নাম পরিবর্তনের কোনো সুসংগঠিত প্রতিবাদ করতে পারিনি। সুতরাং বিগত সরকারের রেখে যাওয়া বিভিন্ন অপকর্ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ভুল সংশোধনের সুযোগ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের জন্মস্থান এই উপজেলার নাম 'ইন্দুরকানী' পরিবর্তন করে এর পূর্বতন নাম 'জিয়ানগর' প্রতিস্থাপন করা অতীব জরুরি বলে জনসাধারণের অভিমত।