কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিজিবি ও ছাত্রজনতার উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর ওপর প্রায় ৪৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্ত সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিজিবি-ছাত্রজনতা মিলে সাঁকোটি নির্মাণ করেন। বৃহস্পতিবার ফিতা কেটে সেটি উন্মুক্ত করে দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষ হাটবাজার থেকে নিত্যপণ্য আনা-নেওয়ায় কষ্ট পোহাতে হতো। পাশাপাশি স্থানীয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষার্থীরা নৌকা দিয়ে পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়ত। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতো। অনেক আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটা সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার স্রোতে সেটি ভেসে যায়। এমতাবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে গয়টাপাড়া এলাকার ৮ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতো। দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত এই জনপদের জনদুর্ভোগ লাঘবে কেউ এগিয়ে আসেনি। স্থানীয়ভাবে একটি সেতু নির্মাণের দাবি থাকলেও জনপ্রতিনিধিরাও থেকেছেন নিশ্চুপ।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী পারভেজ মোশারফ বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিজিবি ও ছাত্রজনতার সার্বিক সহযোগিতায় সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। গাড়ি চালক মায়নুল হক বলেন, আগে নৌকা দিয়ে পারাপার অসম্ভব ছিল। বর্তমানে সাঁকো নির্মাণ করায় গাড়ি দিয়ে চলাচল করা যায়।
এ ব্যাপারে গয়টাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার এবি সিদ্দিক জানান, জনসেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে জনদুর্ভোগ লাঘবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।