ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুধু ভোটের জন্য হয়নি :মান্না
প্রকাশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
শুধু ভোটের জন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বৃহস্পতিবার 'বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ও অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন।
সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ আন্দোলন শুধু ভোটের জন্য হয়নি। আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, ন্যায্যতার ভিত্তিতে তার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার মতো একটা পরিবেশ তৈরি করার জন্য হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ের বিজয় হয়েছে, এখন কি? আমরা তো শুধু স্বৈরাচার সরকার উৎখাত হয়ে যাক সে লড়াই করিনি, আমরা সরকার ও দেশ বদলাবার লড়াই করছি। আমরা সরকার ও প্রশাসন বদলাবার লড়াই করছি। সরকার বদলেছে, এখন পরের কাজটা করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশকে কল্যাণকর রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, মানবিক রাষ্ট্র, যত সুন্দর রাষ্ট্র হতে পারে, সেটা করতে হবে। যেই রাষ্ট্রে বেঁচে থেকে আরাম পাবো, স্বস্তি পাবো। সেই রকম দেশ গড়ার পথে বাধা কি ছিল? স্বৈরাচার। তারা মানুষকে কথা বলতে দিত না, ভোটের অধিকার দিত না, গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছিল। আজকে যদি সেই রাষ্ট্র গঠন করতে চাই তাহলে সে রকম একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা লাগবে। সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা লাগবে। যে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।
তিনি আরও বলেন, গত দুইটা নির্বাচন যদি দেখেন, সবচেয়ে বেশি ভোট ডাকাতি করেছে পুলিশ। পুরো ভোটটাকে খেয়ে ফেলেছে পুলিশ, জনগণকে কথা বলতে দেয়নি পুলিশ, সেই পুলিশ এখন কোথায়? জনগণের আক্রোশের সামনে দাঁড়িয়ে এখন তারা থানায় বসতে ভয় পায়। থানার বাইরে গেলে তাদের নিজেদের সিকিউরিটি নাই, ভোট এই পুলিশ দিয়ে হবে? যদি কয়েকটা আইজি, ডিআইজি, বড় বড় অফিসার বদল করে দেন তাহলেই কি পুলিশ বদলে যাবে? এ পুলিশ এখনো তলে তলে ঘুষ খায়। এখনো যারা মনে করে মামলা কোর্টে নিচ্ছে না তারা পুলিশের কাছে যায়, টাকা যদি দেয় তাহলে হয়তো মামলা নেবে। সেটা আবার পার্টির কোনো নেতা ধরে তিনি সেটা ব্যবস্থা করে দেন।