ইলিশের ভরা মৌসুমেও বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ছিল দর। এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল ভোক্তা সাধারণের। দেশে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় নেই। তবে কেনো সিন্ডিকেটের বেড়াজালে এখনো বন্দি বাজার ব্যবস্থাপনা। এ বিষয়ে দ্রম্নত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল স্থানের প্রশাসনকে সাধারণ ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর শহরের হাজী শরীয়তুলস্নাহ ইলিশের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। এ বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের উপস্থিতিতে প্রকার ভেদে ইলিশ কেজিতে দেড়শ' থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়।
অভিযান পরিচালনার সময় খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, ইলিশ মাছ আড়তদাররা ৪২ থেকে ৪৩ কেজিতে মণ হিসেবে কিনলেও খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে ৪০ কেজিতে মণ, যা দেশের কোনো মাছ বাজারে এই ব্যবস্থা নেই। এসব বিষয়ের প্রতিবাদ করলে আড়তদার মাছ দেওয়া বন্ধ করে।
রমজান শেখ ও আলমগীর হোসেন নামের দুই খুচরা মাছ ব্যবসায়ী বলেন, 'অন্য জেলার মতো আমাদের এখানেও যদি মণ প্রতি দুই থেকে তিন কেজি বেশি ধরে বিক্রি করে তাহলে আমরা কেনা দামে বিক্রি করলেও আমাদের লস হয় না।'
ফরিদপুর ভোক্তা অধিকারীর সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ জানান, 'গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্নভাবেই আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল ইলিশের সিন্ডিকেটের বিষয় নিয়ে। যে কারণে আমরা বাজার পরিস্থিতি জানার জন্য অভিযান পরিচালনা করি আজ (বৃহস্পতিবার)। বাজারে নানা অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিতে আসে। প্রাথমিকভাবে আমরা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। তারপরেও দুইটি আড়তদারকে (দুর্গা মৎস্য ভান্ডার ও রুপালি ইলিশ) ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।'
ফরিদপুরের ইলিশের বাজারে ভোক্তা অধিকারকে এই অভিযানের সহযোগিতা করেন আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা।