ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত সিরাজুল ইসলাম
হত্যা মামলায় আসামি পটুয়াখালীর সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন
প্রকাশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফরিদপুর সদর উপজেলার সিরাজুল ইসলাম ব্যাপারী (২৯)। এ ঘটনায় ২৯ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতে ফরিদপুরের সালথার খলিশাডুবি গ্রামের হাসিবুল হাসান লাবলু একটি মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় অনেকটা বায়োবিয়ভাবে পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামলায় ঢাকার বাইরে ফরিদপুরের মানুষকে বেশি আসামি করা হয়। আর ঢাকার মামলায় পটুয়াখালী পৌরসভার সদ্য সাবেক পৌর মেয়র আসামি হওয়ায় শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ মামলায় ১২০ জনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক মৎস্য মন্ত্রী আবদুর রহমান ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আসামি করা হয়। আর মামলার ১৩নং আসামির তালিকায় দেওয়া হয়েছে পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদের নাম। মামলায় দাবি করা হয় ১নং থেকে ৭নং আসামির নির্দেশে ৮নং থেকে ১২০নং আসামি এবং অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জন প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র এবং দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৫ আগস্ট সকাল ১০টায় শান্তিপূর্ণ ছাত্র-জনতার মিছিলে আক্রমণ করে। সেখান থেকে অজ্ঞাত আসামির ছোড়া গুলিতে সিরাজুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ঘটনা ঢাকার হলেও মামলায় ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলার ৫৯ জনের নাম উলেস্নখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর সদরের ২৩, নগরকান্দার ২৪, সালথার ৯, বোয়ালমারীর ২ ও আলফাডাঙ্গার একজন আছেন। তাদের কারও কারও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মামলার নথিপত্র পাঠিয়ে যোগাযোগ করতে বলেছেন বাদী।
মামলা দায়েরের বিষয়ে জানতে মামলার বাদী হাসিবুল হাসান লাবলুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালী পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, 'উদ্দেশ্যমূলকভাবে পটুয়াখালী থেকে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত রেশারেশির কারণে বাদীকে ব্যবহার করে অথবা বাদী আর্থিক সুবিধা নিতে এ ধরনের মামলায় আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করতে পারে। ঘটনার যে তারিখ (৫ আগস্ট) উলেস্নখ করা হয়েছে সেই তারিখে আমি পটুয়াখালীতে অবস্থান করেছি, যা নথিপত্র এবং পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ, আমার মোবাইলের লোকেশন পর্যালোচনা করলে দেখতে পাবেন।'