চার জেলায় পানিতে ডুবে দুই কিশোরীসহ ৫ জনের মৃতু্য

রাজাপুরে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার নলডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃতু্য

প্রকাশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
পানিতে ডুবে চার জেলায় দুই কিশোরীসহ পাঁচজনের মৃতু্য হয়েছে। হবিগঞ্জের লাখাই, ফরিদপুরের মধুখালী, সাতক্ষীরার তালা ও কুমিলস্নার তিতাসে এসব মৃতু্যর ঘটনা ঘটে। এদিকে, ঝালকাঠির রাজাপুরে হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার ও ফরিদপুরের নলডাঙ্গায় আন্তঃনগর ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃতু্য হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট- লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জের লাখাইয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো দুই সহোদরের পানিতে ডুবে মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। পানিতে ডুবে মৃতু্যবরণ করা দুই কিশোরী উপজেলার স্বজন গ্রামের সাধু মিয়ার মেয়ে তাহমিনা বেগম (১৭) ও সোনিয়া (১৫)। তারা বাকপ্রতিবন্ধী ছিল। উলেস্নখ্য, এর আগে গত ৩১ আগস্ট উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের বামৈ গ্রামের বউবাজার এলাকায় পাখি আক্তার (৮) ও মাইশা আক্তার (৯) নামে দুইজন স্কুলছাত্রী পানিতে ডুবে মারা যায়। মধুখালী (ফরিদুপর) প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের মধুখালীতে পানিতে ডুবে মো. রিফাত বিশ্বাস নামের আট বছরের এক শিশুর মৃতু্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডে পশ্চিম গাড়াখোলায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রিফাত ওই গ্রামের দেলোর ছোট ছেলে। ৪নং ওয়ার্ড কমিশনার আনিচুর রহমান লিটন জানান, রিফাত গত বুধবার দুপুরে নদীতে গোসল করতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে মরিচ বাজার ব্রিজের কাছে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে লোকজন উদ্ধার করে। তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে খেলার ছলে নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল হোসেন আলী নামে (১৫) এক কিশোর। গত বুধাবার রাত ১১টার দিকে কপোতাক্ষ নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর আগে ওইদিন বিকালে কপোতাক্ষ নদে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয় সে। নিখোঁজ হওয়া কিশোর হোসেন আলী সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, বিকাল ৫টার দিকে কুমিরার কপোতাক্ষ নদের ব্রিজ থেকে ৩ বন্ধু পানিতে ঝাঁপ দেয়। দুই বন্ধু পাড়ে উঠে আসলেও নিখোঁজ হয় হোসেন আলী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার লাশ উদ্ধার করে। তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার তিতাসে পানিতে ডুবে মৃতু্যর তালিকায় যুক্ত হলো আদিল নামের আরেক কিশোর। গত বুধবার বিকালে গোসল করতে পুকুরে নেমে সে নিখোঁজ হয়। আদিল সরকার (১২) উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের শিপু সরকারের ছেলে। সে মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। নিহতের চাচা আলম সরকার জানান, আদিল গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। পরে গ্রামের লোকজন খোঁজাখুঁজির এক ঘন্টা পর পানির মধ্যে তার লাশ পাওয়া যায়। এদিকে, চলতি বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে ভেসে তৃতীয় শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার ও আয়েশা আক্তার এবং ৫ বছরের হামিম নামে তিনি শিশু মারা যায়। রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির রাজাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পরে ডোবা থেকে একই রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলহার ফজলু হাওলাদার বাড়ির সামনে ডোবা থেকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৫৫)। তিনি উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের গালুয়া দুর্গাপুর এলাকার মৃত জিন্নাত আলী হাওলাদার ছেলে। নিহতের ছেলে মারুফ হাওলাদার জানান, তার বাবা পেশায় ইজিবাইক চালক। গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে ফুলহার ফজলু হাওলাদার বাড়ির সামনের ডোবায় একটি বস্তা ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। বস্তা থেকে দুর্গন্ধ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয়রা রাতে পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তার মধ্য থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে। রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃতু্যর মামলা রেকর্ড করে বৃহস্পতিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তে ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে। নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, নাটোরের নলডাঙ্গায় আন্তঃনগর ট্রেনে কাটা পড়ে শাকিল নামের এক যুবককের মৃতু্য হয়েছে। বুধবার দিনগত রাত ৩টায় উপজেলার মহিষমারী ব্রিজের কাছে খুলনা হতে চিলাহাটিগামী সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে কাটা পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল (২৬) উপজেলার মহিষমারী এলাকার সেকেন্ডার আলীর ছেলে।