বাগমারায় দখল-লুটপাটে বেপরোয়া সন্ত্রাসীরা
প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহী অফিস
রাজশাহীর বাগমারায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীরা। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে লোকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, ছিনতাই এবং পুকুর ও প্রতিষ্ঠান দখলের মতো কর্মকান্ড চলছে। তবে পুলিশ বলছে, এসব আর চলতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যেই যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার গাঙ্গপাড়া জনতা ব্যাংকের সামনে থেকে আফজাল হোসেন নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। একই দিনে তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় পৃথক স্থানে চারজনকে পিটিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
যাদের মধ্যে তাহেরপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র বাবুল খান রয়েছেন। এ সব ঘটনায় থানায় একাধিক অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তোভুগী আফজাল হোসেন জানান, 'মাছ বিক্রির পাঁচ লাখ টাকা জনতা ব্যাংকের হাটগাঙ্গপাড়া শাখায় জমা দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলা করে টাকার ব্যাগ কেড়ে নেয়।'
অপরদিকে, পুকুর দখল ও মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি। বাগমারার মাড়িয়া ইউনিয়নের গাঙ্গোপাড়া এলাকায় রাজশাহীর ব্যবসায়ী হাসিবুল আলমের ৯০ বিঘা জলকর দখল ও প্রায় দুই কোটি টাকার মাছ লুটপাট করে নিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
হাসিবুল আলম জানান, 'মাড়িয়া ইউনিয়নের গাঙ্গোপাড়া এলাকার সন্ত্রাসী ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে একই এলাকার ফেরদৌস রহমান, জাহিদ হাসান, মুনজুর রহমান, বাবু, লিটন ও আশরাফুল ইসলাম ব্যবসায়ী হাসিবুল আলমের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হলে তিনটি পুকুর দখল করে এবং মাছ লুটপাট করে।' এছাড়াও গত ১৭ আগস্ট তাহেরপুর পৌরসভার জামগ্রাম এলাকার চারটি পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার মাছ লুট করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। একইভাবে বাগমারা উপজেলার প্রায় ২৫-৩০টি পুকুর দখল ও প্রায় শত কোটি টাকার মাছ লুট করা হয়েছে গত এক মাসে। এদিকে, রাজশাহী বাগমারায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তলসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বাগমারা উপজেলার গাঙ্গোপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সন্ত্রাসীর নাম লিয়াকতুল আলম লিটন। তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসী ফজলু বাহিনীর সদস্য।
পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান জানান, আর কাউকে দখল, লুটপাট ও ছিনতাই করতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যেই যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। এ সব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নেয়া হবে।