সিরাজগঞ্জের উলস্নাপাড়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম আজাদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে অনেক জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে দুদক। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদের নামে ও বেনামে রয়েছে ১৬টি ফ্ল্যাট বাড়ি ও সম্পদের পাহাড়।
পিআইও আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুদক আআঞ্চলিক কার্যালয় তার সম্পদের হিসাব চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রাপ্তচিঠি পাওয়ার পরে আবুল কালাম আজাদ গত ৩ জুলাই তার সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায়, এই দুর্নীতিবাজ পিআইও অবৈধভাবে অডেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ছেলে এমপি. তানভীর ইমামের আর্শীবাদ পুষ্ট হয়ে তার সহকারী মীর উজ্জ্বলের সঙ্গে সক্ষতা গড়ে তোলেন তিনি। এরই সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কর্মক্ষেত্রে গড়ে তোলেন একচ্ছত্র আধিপত্য।
সরকারি বিধি মোতালেব কর্মকর্তাদের নিজ নিজ স্টেশনে থাকার নিয়ম থাকলেও তিনি তা অপসারণ না করে, নিজ জেলা শহর পাবনায় তার অবৈধভাবে অর্জিত টাকায় নির্মিত আলি শান বাড়িতে বসবাস করেন। এ ছাড়াও উলস্নাপাড়া থেকে পাবনায় যাতায়াত করেন তার ব্যক্তিগত দামি ব্যান্ডের প্রিমিও গাড়ি ও হ্যারিয়ার গাড়ি। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পরে তিনি নিয়মিত অফিস না করায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। দুর্নীতিবাজ পিআইও এর দ্রম্নত অপসারণ চায় উলস্নাপাড়ার সচেতন মহল।
এ বিষয়ে পিআইও আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়েও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, 'দুদকের মামলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই, তবে তিনি যদি সঠিক সময়ে অফিসে না আসেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'