গত আগস্টের শেষের দিকের কুমিলস্না, ফেনী, নোয়াখালী অঞ্চলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কয়েক লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতির ভয়াবহতা দেখেছে কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামের লক্ষাধিকেরও অধিক মানুষ। উপজেলার অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পরিবার ভিটেমাটি, গবাদী পশু ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে এবং আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে চৌদ্দগ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মেঘনা গ্রম্নপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ (এমজিআই)। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামের এবং পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার কয়েকটি গ্রামের অন্তত ১৮ হাজার পরিবারকে দুই ধাপে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে মেঘনা গ্রম্নপ। গত ২৫ আগস্ট থেকে তাদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের বুদ্দিন গ্রামের কৃতিসন্তান মোস্তফা কামালের উদ্যোগে প্রথম ধাপে অন্তত ১৩ হাজার পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করে। দ্বিতীয় ধাপে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, তৈল, লবণ, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কনকাপৈত নূর মিয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিব উলস্নাহ ও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মজুমদার।