ঢামেকে দীপ্তর মৃতু্যর বিচার ও সাজানো মামলা প্রত্যাহার দাবি
প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম দীপ্তর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (ঢামেক) বিনা চিকিৎসায় মৃতু্যর বিচার এবং তার বন্ধুদের নামে সাজানো মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে গাইবান্ধাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে নিহত দীপ্তর বন্ধু, সহপাঠী ও স্বজনসহ সর্বস্তরের বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা শহরের মহুরীপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম মাজুর ছেলে আহসানুল ইসলাম দীপ্ত গত ৩০ আগস্ট ঢাকার কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। দুর্ঘটনার পর তার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন দুর্বৃত্তরা হাতিয়ে নেয়। পরে নিলয় নামে এক পথচারী তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বন্ধে একটি অস্ত্রোপচার ও আইসিইউর জন্য সেখান থেকে তাকে ঢামেকে রেফার করা হয়। কিন্তু আইসিইউ বেড বাবদ সাত হাজার ৫০ টাকা দাবি করেন ওয়ার্ডবয় ও কর্মচারীরা। দীপ্তর স্বজনরা না থাকায় টাকা না পাওয়ায় তাকে চিকিৎসাসেবা না দিয়ে জরুরি বিভাগের মেঝেতে ৯ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়। পরের দিন শনিবার সকালে তার মৃতু্য হয়। খবর পেয়ে দুপুর নাগাদ দীপ্তর বন্ধু সঞ্জয় পাল জয়সহ অন্য বন্ধুরা হাসপাতালে আসেন এবং বিনা চিকিৎসায় দীপ্তর মৃতু্যর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। ওইদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুটি মৃতু্যর ঘটনায় হামলা ও ভাঙচুর হয়। বিনা চিকিৎসায় দীপ্তর মৃতু্যর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার বন্ধুদের মামলায় জড়ানো হয়, এমনকি কাতার প্রবাসী বন্ধুকেও আসামি করা হয় বলে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিহত দীপ্তর ছোট বোন মার্জিয়া বলেন, 'আমি আমার ভাইকে ছাড়া থাকব কীভাবে? ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের চরম অবহেলায় আমার ভাই দীপ্তর মৃতু্য হয়েছে। আমি এই মৃতু্যর বিচার চাই। ভাইয়ের মৃতু্যকে কেন্দ্র করে তার বন্ধুদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃত জয়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করি।'
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দীপ্তর বাবা শহীদুল ইসলাম মাজু, ভাই শাওন ইসলাম, বন্ধু তামজিদ রায়হান শিথিল, আব্দুলস্নাহ সানি, রাশেদ স্বর্ণ বাবু, সামিউল ইসলাম নিবির প্রমুখ।