কুষ্টিয়ার পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। বিশেষ করে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, মির্জানগর, সাহেবনগর, খাদিমপুর, পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর, টিকটিকি পাড়াসহ প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিবছর পদ্মার করাল গ্রাসে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি।
এ বছরেও এসব এলাকায় পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে এরই মধ্যে কয়েকশ' বিঘা ফসলিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, বসতভিটাসহ উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কটি। এই মহাসড়ক থেকে বর্তমানে হাফ কিলোমিটার দূরত্ব রয়েছে পদ্মা নদী।
তীব্র ভাঙনের ফলে প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে নদী। এদিকে একমাত্র আয়ের উৎস ফসলিজমি হারিয়ে দিশেহারা এখানকার কৃষকরা। নতুন করে বসতভিটা হারানোর ভয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। অবিলম্বে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে নদীর পাড়ে মানববন্ধনও করেছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি, ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই কোনো আশ্বাস নয়, নদী ভাঙন ঠেকাতে অতিদ্রম্নত ব্যবস্থা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
এদিকে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুর রহমান বলেন, ভাঙন স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে ১৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।