বিগত সরকারের শেষ সময়ে রপ্তানির তথ্যে গরমিল ছিল। ওই সময় রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরো (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রপ্তানি তথ্যে অমিল ছিল। ওই তথ্য শিগগির সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ-উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার সকালে ইপিবির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণের একটি প্রজেকশনও তৈরি করতেও ইপিবিকে বলা হয়েছে। রপ্তানি তথ্যসহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আগে রপ্তানির তথ্য কিছু অমিল ছিল। আমি তাদের (ইপিবি) শেষ পর্যন্ত রপ্তানির তথ্য সমন্বয় করতে বলেছি। যতদ্রম্নত সম্ভব তা করা হবে। একটি প্রজেকশনও তৈরি করতে বলেছি যে, আমাদের রপ্তানি সামনে কত হবে।
শেষ অর্থবছরে ইপিবি তাদের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেনি, সেটি কবে করা হবে এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিগগির ইপিবির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে। ইপিবি কর্মকর্তারা রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্তকরণ এবং তথ্য সমন্বয়ে কাজ করছেন এবং বোর্ডসভায় সব বিষয় অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জিডিপির তথ্যেও কোনো পরিবর্তন আসতে পারে কিনা এমন বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ওটা দেখছি। এটা আমাদের উৎপাদনকে কেন্দ্র করে করা হয়, অনেক খাত জড়িত। প্রায় ১৯টি খাত। এটা আপনারা জানতে পারবেন।
ছেঁড়া এবং জরাজীর্ণ মুদ্রা এবং ব্যাংক নোট বিষয়ে তিনি বলেন, এটি প্রায়শই ঘটে কারণ দেশবাসী তাদের নোটগুলোকে ভুলভাবে পরিচালনা করে। এখানে রাখে, ওখানে রাখে। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশে এমন অব্যবস্থাপনা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করব, তবে নতুন নোটগুলো না থাকলে এখনই পুরনো মুদ্রা এবং ব্যাংক নোটগুলো প্রতিস্থাপন করা যাবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদ কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিল করায় বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করছে।
বাজেট ও এডিপি সংশোধনের বিষয়ে অর্থ-উপদেষ্টা বলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা এডিপি সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ করবেন। প্রয়োজনে জাতীয় বাজেট সংশোধন করা হবে। আমরা অহেতুক সব খরচ বন্ধ করে যুক্তিসঙ্গত করব।
বৈঠকে বাণিজ্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।