ভোগান্তিতে রোগীরা

খুলনায় একযুগ ধরে বন্ধ স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের এক্স-রে

প্রকাশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

খুলনা অফিস
দুপুর সাড়ে ১২টা। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা জেলা তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের এক্স-রে কক্ষের সামনে ঘোরাঘুরি করছেন ইখড়ি গ্রামের দিনমজুর কবির শেখ। আঘাত পাওয়া পায়ের এক্স-রে করাতে এসেছেন তিনি। কিন্তু এক্স-রে কক্ষের দরজায় ঝুলছে তালা। পরে তিনি জানতে পারেন এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অনেকক্ষণ অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। পরে যখন জানতে পারলেন তখন মুখ মলিন করে বেরিয়ে গেলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র। এক্স-রে করাতে আসা কাটেংগা এলাকার রাকিবুল ইসলাম বলেন, 'ভাই এটা কি সারাবছরই নষ্ট থাকে আমরা এলাকার লোক তো এটার সুবিধা পাই না। খুলনা শহরে একটা এক্স-রে করাতে ১ হাজার টাকা নেয়। এটা ঠিক থাকলে অল্প টাকায় এক্স-রে করা যেত। কষ্টও কম হতো।' জানা গেছে, এখানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শ' রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। এর মধ্যে শতাধিক রোগীর এক্স-রের প্রয়োজন হয়। হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় এক্স-রে ও অত্যাধুনিক অস্ত্র পাচার কক্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ তালাবদ্ধ থাকে। এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন অকেজো থাকার পর মেরামত করা হয় ২০০৯ সালে। তবে প্রায় ১৪ বছর মেশিনটি আর চালু করা হয়নি। এক্স-রে টেকনিশিয়ানসহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকট রয়েছে। ফলে তেরখাদা উপজেলার ২ লক্ষাধিক মানুষের সেবার আশ্রয়স্থল এই হাসপাতালটিতে এক্স-রে ও অস্ত্রপাচার কক্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ কক্ষে সব সময় তালা ঝুলতে দেখা যায়। এ ছাড়া অবহেলা-অযত্নে পড়ে রয়েছে এক্স-রে মেশিনসহ অস্ত্র পাচার কক্ষের বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রপাতি। বর্তমানে কর্মরত চিকিৎসকদের আমলে কেউ কোনোদিন এক্স-রে মেশিনটির চেহারাও দেখেননি। শুধু শুনেছেন রুমের মধ্যে একটি এক্স-রে মেশিন আছে, যা তালা দেওয়া। এতে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অনিক কুন্ডু বলেন, এক্স-রে টেকনিশিয়ান না থাকায় মেশিনটি কাজে আসছে না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন। উলেস্নখ্য, হাসপাতালটিতে ১৭৪ পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৯টি ও দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ৮১ পদই খালি রয়েছে।