সুনামগঞ্জে সাবেক চার এমপিসহ ৯৯ জনের নামে মামলা

টাঙ্গাইলে আ'লীগের সভাপতি সম্পাদকসহ আসামি ২৩০

মিছিলে হামলা ও গুলির অভিযোগ

প্রকাশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিছিলে হামলা ও গুলির অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩০ জন ও সুনামগঞ্জে সাবেক চার এমপিসহ ৯৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো বিস্তারিত খবর- স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিছিলে হামলা ও গুলির অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩০ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত যুবক লাল মিয়া বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় শনিবার রাতে মামলাটি করেন। টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন গত রোববার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদী লাল মিয়া (৩০) কালিহাতী উপজেলার চিনামুড়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুককে হুকুমদাতা হিসেবে উলেস্নখ করা হয়েছে। অপর ২২৯ আসামির মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ছাড়াও রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, শাহজাহান আনছারী ও কুদরত এলাহী খান; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোলায়মান হাসান, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ তারেক পুলু, উপদপ্তর সম্পাদক আনন্দ মোহন দে। আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হাফিজুর রহমান স্বপন, সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ আহমেদ, কালিহাতী উপজেলা আ'লীগের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোলস্নাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। মামলায় বাদী উলেস্নখ করেন, গত ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মিছিল শহরের জেলা সদর সড়কের বিবেকানন্দ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশি অস্ত্র নিয়ে আসামিরা হামলা করেন। তাদের ছোড়া গুলি বাদীর বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে বিদ্ধ হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানেও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ চার এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ৯৯ জনকে আসামি করে আদালতে দ্রম্নত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। গত রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট নির্জন কুমার মিত্রথর আদালতে মামলাটি করেন দোয়ারাবাজার এরোয়াখাই গ্রামের হাফিজ আহমদ। তিনি ওই গ্রামের নাজির আহমদের ছেলে। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, পর্যায়ক্রমে মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি রনজিত সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯ জন। মামলায় উলেস্নখ করা হয়েছে, গেল ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাদীর ভাই গুরুত্বর আহত জহুর আলী ও রিপন মিয়াসহ আহতদের শহরের পুরাতন বাস স্টেশনের গুলি করে রামদা দিয়ে কুপিয়ে পেট্রোলবোমা ও ককটেল ফাটিয়ে আহত করেছেন। আসামিরা কেউ সশরীরে ছিলেন, আবার কেউ হুকুম দিয়েছেন।