খুলনার ডুমুরিয়ায় পলি পড়ে ষষ্ঠীতলা রেগুলেটরের জলকপাট অকেজো হয়ে পড়েছে। এর ফলে উপজেলা সদর থেকে শুরু করে নিম্নবর্তী অঞ্চলগুলোয় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তাই গত তিনদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৭/১ পোল্ডারের ষষ্ঠীতলা রেগুলেটরের পলি অপসারণের কাজ চলছে। দ্রম্নত পলি অপসারণের লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্র্ড কাজ করছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন।
জানা যায়, ভারি বর্ষণের ফলে এবং পানি নিষ্কাশনের পথ আটকে থাকায় ডুমুরিয়া সদরসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো পস্নাবিত হয়ে পড়েছে। ডুমুরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ১০ দিন ধরে পানি জমে আছে। ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে এ অফিসে আসা সব মানুষ।
আরাজি ডুমুরিয়া গ্রামের শামীম হোসেন লাভলু বলেন, 'ষষ্ঠীতলা গেটটি বন্ধ থাকায় আমার বাড়ির উঠানে পানি জমে আছে আজ ১০ দিন। ক্ষেত খামারের সব ফসল যাচ্ছে নষ্ট হয়ে। এ গেট দিয়ে ডুমুরিয়া, আরাজি সাজিয়াড়া, আরাজি ডুমুরিয়া ও গুটুদিয়া মৌজার একাংশের পানি নিষ্কাশন হয়। পলি পড়ায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছি আমরা।'
দীর্ঘ ১০ দিন জলাবদ্ধ হয়ে আছে গোটা রংপুর ইউনিয়নসহ থুকড়া, রামকৃষ্ণপুর, বিলপাটেলা, মাধবকাটি, ডুমুরিয়া, গুটুদিয়া, মির্জাপুর গ্রামের কিছু এলাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিকাংশ রেগুলেটর অকেজো থাকায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-আমিন জানান, দ্রম্নত পলি অপসারণপূর্বক পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে কাজ চলছে এবং আশা করি খুব তাড়াতাড়ি পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হবে।
উলেস্নখ্য, বিল ডাকাতিয়াসহ উপজেলার রংপুর, গুটুদিয়া, ডুমুরিয়া, রঘুনাথপুর এলাকার পানি নিষ্কাশন হয় শোলমারি ১০ ভেন্টের রেগুলেটর দিয়ে এবং ডুমুরিয়া সদর, আরাজি ডুমুরিয়া, সাজিয়াড়া, গুটুদিয়ার জোয়ারেবিল এলাকার পানি নিষ্কাশন হয় ষষ্ঠীতলা ১ ভেন্ট রেগুলেটর দিয়ে। বর্তমান স্স্নুইচ গেট দুটির মুখে পলি ভরাট হয়ে জলকপাট আটকে পড়েছে। যে কারণে এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।