নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পাওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ঘাতক দালাল নির্মূল (ঘাদানি) কমিটির সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সোমবার পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শফিকুল রহমান।
এর আগে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। গত বৃহস্পতিবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক যৌথ নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে ডিনস কাউন্সিল বা ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের আলোচনাক্রমে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশ দেয়।
এর প্রেক্ষিতেই রোববার বেরোবির ডিনস কমিটির পক্ষে অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু ড. মোরশেদ হোসেনের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক থাকলেও তিনি বিতর্কিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ডিন কমিটির সদস্যদের নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রম্নপ ও পেজে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ফারুক হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'কীসের চলতি দায়িত্ব, নিজেদের সুবিধামতো লোকে দায়িত্ব দিলেই হবে নাকি ওনার নামে মামলা আছে, চলমান ঘটনার। ভিসি প্রয়োজন ভিসি নিয়োগ দেন।'
'সোজা কথা, এসব নাটক দেখতে ভালো লাগে না, স্টুডেন্টদের আবার খেপাইয়েন না। ডিনস কমিটি আলাদের বলি, ভিসি নাই, ভিসি নিয়োগের জোর দেন, এসব পাঁয়তারা বাদ দেন। লজ্জা থাকলে ওই শিক্ষক এই দায়িত্ব নেবে না।'
'বেরোবি শিক্ষক সমাচার' নামের এক পেজে বলা হয়, 'আওয়ামী লীগের এমপি মোতাহার হোসেনের (হাতিবান্ধা-পাটগ্রাম আসন) নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা আবার এই আমলেই সুবিধা নেওয়ার জন্য ব্যস্ত। আলস্নাহ যারে দেয় সব সরকারের আমলেই দেয়।'
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।