ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ নিয়ে শুরু হয়েছে অপরাজনীতি।
জানা গেছে, এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল বহিরাগত কিছু ছেলেকে লেলিয়ে ছাত্রীদের দিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের নামে বহিরাগত ছাত্রদের প্রবেশ ও শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে বিক্ষোভ করায় অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও ভয় কাজ করছে।
জানা যায়, কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বহিরাগত কিছু ছাত্রদের প্ররোচনায় প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ বা অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করে। গত ২৯ আগস্ট বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত ছাত্রদের সঙ্গে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে মিছিল ও বিক্ষোভ করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ গভর্নিংবডির অনুমোদন ছাড়াই বিধিবহির্ভূতভাবে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এসময় তারা বিগত গভর্নিংবডির একটি তদন্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমের হাতে তুলে দেন।
তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও সদ্যবিলুপ্ত গভর্নিংবডির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির আয়-ব্যয় ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে। প্রতিটি ব্যয়ের আগে নির্ধারিত উপ-কমিটি করে তাদের সুপারিশ মোতাবেক অর্থ বরাদ্দ দেয় গভর্নিংবডি। এখানে এককভাবে অধ্যক্ষের এক টাকাও খরচ করা বা উত্তোলন করার ক্ষমতা নাই। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি, তাতে সুনির্দিষ্টভাবে কোথাও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে, তা উলেস্নখ করেনি কমিটি।
অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ বলেন, 'এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই। আয়-ব্যয় সব ব্যাংকের মাধ্যমে হয় এবং প্রতিটি প্রকল্প কমিটি সম্পাদন করে থাকে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যে মিথ্যা সেটা প্রমাণসহ আমি গভর্নিংবডির কাছে লিখিত জবাব দিয়েছি। আমি কোনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক- এ প্রার্থনা করি।'
কলেজটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, 'শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসেছিল। কলেজটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের একটি লিখিত জবাব তিনি জমা দিয়েছেন। অচিরেই পরবর্তী সভা ডেকে এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে, দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'