মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মধ্যরাত থেকে মৎস্য আহরণ শুরু

কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছেন কাপ্তাই হ্রদের জেলেরা

লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
  ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছেন কাপ্তাই হ্রদের জেলেরা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে দীর্ঘ চার মাস সাত দিন পর মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে শনিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে মাছ শিকার। এতে টানা বিরতির পর কাজে ফিরছেন মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ী ও খাতসংশ্লিষ্টরা। ফলে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস ও কর্মচাঞ্চল্য।

এর আগে হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বংশবিস্তার বৃদ্ধির জন্য গত ২৫ এপ্রিল থেকে কাপ্তাই হ্রদে তিন মাসের জন্য মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে হ্রদে পানি স্বল্পতার কারণে দুই দফায় নিষেধাজ্ঞার সময় বর্ধিত হয়েছিল আরও এক মাস সাত দিন।

এদিকে হ্রদের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জেলেদের পাশাপাশি রাঙামাটির মাছের প্রধান বিপণন কেন্দ্রগুলোতেও চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। হ্রদে মাছ শিকার শেষে রোববার ভোরে রাঙামাটি প্রধান বিপণনকেন্দ্র ছাড়াও জেলার লংগদু, কাপ্তাই, বরকল ও বাঘাইছড়িসহ উপকেন্দ্রগুলোতে মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। এরপর পন্টুনে আসা এসব মাছের শুল্কহারসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষে দেশের বিভিন্নস্থানে বাজারজাতকরণ করা হয়।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হয়েছে। এতে করে দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় পর কাজে ফিরছেন জেলে ব্যবসায়ীরা। সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে এ বছর কাপ্তাই হ্রদের মাছের গুণগত মান ভালো হবে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, তারা তাদের বোট, জাল সব প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। রাতেই হ্রদে জাল ফেলেন। অনেকদিন পর মাছ ধরা শুরু হওয়ায় তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে।

কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ইতোমধ্যেই বিএফডিসির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাঙামাটি শহরের প্রধান বিপণন কেন্দ্রসহ অন্যান্য বিপণন কেন্দ্রগুলোর পন্টুনগুলো আগেই প্রস্তুত করা হয়। রোববার ভোর থেকে পন্টুনে মাছ নিয়ে আসছেন জেলেরা। এরপর এই মাছের শুল্কহার আদায় শেষে বাজারজাত করেন ব্যবসায়ীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে