জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পার্থশী ইউনিয়নের মলমগঞ্জ মডেল কলেজটি ২১ বছরেও এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় প্রভাষক-কর্মচারীসহ ২৬ জন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ, প্রভাষক ও অফিস সহকারীসহ কয়েজন মারা গেছেন। অনেকে আবার এলপিআরেও চলে গেছেন।
ইসলামপুর উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উচ্চ মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলে মোট ১১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পার্থশী ইউনিয়নে ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের সময় মলমগঞ্জ মডেল কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৯-২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকার সময় ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়। পশ্চিম এলাকায় একমাত্র বিশাল চারতলা ভবন, বিশাল টিনসেট বারান্দাসহ ঘর, প্রশস্ত মাঠ, মনোরম ও নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে বর্তমানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলে ৩৩৪ জন ছাত্রছাত্রী। প্রভাষক ও কর্মচারী ২৬ জন নিয়ে মলমগঞ্জ মডেল কলেজটি পরিচালনা হয়ে আসছে।
গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক দুলাল মলমগঞ্জ মডেল কলেজটির প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছেন। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ভবন নেই। শুধু স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রস্তাবনাকেই সরকারি অনুমোদন এমপিওভুক্ত করেই বিল বেতন ধরিয়ে দিয়েছেন। অথচ মলমগঞ্জ মডেল কলেজটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও কেন এমপিওভুক্ত হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
ইসলামপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও পাথর্শী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শফিউলস্নাহ বুলবুল জানান, 'এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, এত বড় একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন এমপিও করা হলো না, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছামিউল হক শামীম জানান, 'প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করার জন্য সাবেক ধর্মমন্ত্রীকে বার বার বলেছি, কেন কাজ হয়নি, সেটা আমরা জানি না।'
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, 'ইসলামপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে ৩৪টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে, মলমগঞ্জ মডেল কলেজটি কেন এমপিওভুক্ত হয়নি, তা আমার জানা নেই।'