পানি নিষ্কাশনের অভাবে আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের ৪-৫ বিলে বর্ষণের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পানিতে তলিয়ে রয়েছে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার একর জমির ফসল। প্রতিবছর এই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এর ফলে প্রতিবছর শতশত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সারুটিয়া বয়রা বিলের পুরাতন সরকারি কাটাজোলা (ড্রেন) ভরাট করায় এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এই জলাবদ্ধতা তাদের পেটের আহার কেড়ে নিচ্ছে।
কৃষকেদের অভিযোগ, গত ৩-৪ বছর ধরে তারা এই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অভিযোগকারীরা আরও জানান, সারুটিয়া বয়রার বিল, মটর বিল, দিয়ার পাড়া মাঝবিল, শ্যামপুর বিল এবং হাতিগাড়া বিল পর্যন্ত প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে থাকে। কিন্তু সারুটিয়া বয়রার বিলের পুরাতন সরকারি কাটাজুলা বা ড্রেন ভরাট করায় কৃষকদের ভাতে মারা হচ্ছে।
অভিযোগকারীদের বক্তব্য, তারাসহ আশপাশের গ্রামবাসী কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক দেনদরবার করেছেন, কিন্তু কেনো কাজ হচ্ছে না। তারা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ইদ্রিস আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, উপজেলা কৃষি অফিসার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন। মুনতাহির নামে অপর এজনের বক্তব্য, ২০০৪-২০০৫ সালে বি.এডি.সি তে অভিযোগ করে পলস্নী উন্নয়ন বোর্ডের ডিপটিউবওয়েলের পানি দিয়ে তারা আবাদ করবে না বলে তারা ওই কাটাজোলা (ড্রেন) বন্ধ করে দেয়। অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান একজন কৃষক, তিনি পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা করেছেন বলে দাবি করেন।
এই জলাবদ্ধতার কারণে ওই ৪-৫টি বিলের মাথায় সারুটিয়া বয়রা বিলে প্রায় ৫০০ জমির ধান বর্তমানে পানির নিচে ডুবে রয়েছে। যার কারণে চারা পচে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কৃষকদের দাবি, জলাবদ্ধতা না হলে তাদের দুঃখ দূর হবে।