সারাদেশের সঙ্গে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৌলভীবাজারে মাত্র একদিন আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। গত ৪ আগস্ট মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে মিছিল সহকারে শিক্ষার্থীরা শহরের চৌমুহনা এলাকায় এলে আ'লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হামলা চালায়।
এ সময় ৬ সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। ওই ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। মামলায় আসামি করা হয় ৩০৩ জনকে। মামলা দায়ের করেন রাজনগর উপজেলার মেদেনীমহল গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে শিক্ষার্থী আব্দুল কাদির তালুকদার, সদর উপজেলার নিতেশ্বর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আরিফ আহমেদ ও পাগুলিয়া গ্রামের রাজনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাবেদ মিয়া। ওই ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মাত্র ৭ জনকে।
উলেস্নখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিলস্নুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ'লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, জেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, রাজনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, যুবলীগের জেলা সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, একাটুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, কাউন্সিলর জালাল আহমদ, রাজনগর উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত, শেখ রুমেল আহমদ, ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক জেলা সভাপতি জাকারিয়া, অ্যাডভোকেট গৌছ উদ্দিন নিক্সন, আনিছুল হক চৌধুরী তুষার, অ্যাডভোকেট পার্থ সারথী পাল, সৈয়দ সেলিম হক, অ্যাডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ, অ্যাডভোকেট জুনেদ আহমদ, জেলা আ'লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. সাব্বির খান, সদর উপজেলা আ'লীগের সভাপতি আকবর আলীসহ ৩০৩ জন।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুলতানুর রহমান শুক্রবার বিকালে বলেন, আব্দুল কাদির তরফদারের দেওয়া মামলায় ১৫৫ জন আসামিদের মধ্যে ৪ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
অপর উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন বলেন, 'আরিফ আহমদের ৪৯ জনকে আসামি করে দায়ের করা মামলায় ১ জনকে আটক করেছি। অপর মামলায় আরও ২ জনসহ মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭ জন।'