ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই জেলায় গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
শেরপুরের শ্রীবরদীতে চাঁদাবাজি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এদিকে নওগাঁর রাণীনগরে পর্নোগ্রাফি আইনে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর- শেরপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদাবাজি মামলায় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে জামিন প্রার্থনা করে আদালতের হাজির হলে জিআর আমলি আদালতের বিচারক মো. নূর-ই-জাহিদ ওই রায় দেন। জানা গেছে, আরমান খন্দকার নামে এক যুবককে উসকানিদাতা হিসেবে ধারণা করে তার মাছের প্রজেক্টে হামলা ও লুটপাট করে এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন চেয়ারম্যান আব্দুল করিম। এ সময় চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে এ ঘটনায় ২২ আগস্ট শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করে আরমান খন্দকার। পরবর্তীতে ওই মামলায় আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহীন বলেন, 'চাঁদাবাজির মামলায় করিম চেয়ারম্যান জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে আমরা ন্যায়বিচারের জন্য আদালতকে আবার অবগত করব। আশাকরি ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত হবে।' রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর রাণীনগরে গৃহবধূর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ রাসেল আহম্মেদ (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাসেলকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রাসেল উপজেলার কাটরাসিন গ্রামের মাহাবুব আলীর ছেলে। জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রবাসীর স্ত্রীর (৩০) সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে যুবক রাসেল। এরপর ইমুতে ভিডিও কলে কথা বলার একপর্যায়ে নানান অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে রাসেল। এ ঘটনা জানার পর রাসেলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে গৃহবধূ। এর পর গত বুধবার রাসেল ধারণকৃত ভিডিও গৃহবধূর আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্নজনকে ইমুতে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে থানাপুলিশ রাসেলকে রাতেই গ্রেপ্তার করে। রাণীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদি মাসুদ জানান, গৃহবধূর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।