নাটোরের নলডাঙ্গায় আলোচিত স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে, যশোরে ছয় কোটি টাকার স্বর্ণের বার চোরাচালান মামলায় কারবারির ১৪ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরার অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে বাবু শেখ ও রইচ উদ্দিন নামের দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর পাঁচ আসামি মো. সোহাগ, রাকিব হোসেন, আল-আমিন, মো. জিয়ারুল ও জামাল হোসেনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১৪ সালের ৬ মে রাতে নলডাঙ্গার খাজুরা মোলস্নাপাড়া গ্রামে ভিকটিমকে তার কক্ষে ঢুকে ধর্ষণ করার পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরের দিন ভিকটিমের বাবা নলডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। দশ বছর পর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং শুনানির পর বিচারক বাবু এ রায় দেন।
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর জানান, যশোরে প্রায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের সাত কেজি ওজনের সোনার বার পাচারকালে আটক চোরাকারবারি রাজ্জাক সরদারের ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি ভিমসেন দাস। সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাজ্জাক বেনাপোলের বারোপোতা গ্রামের মৃত সমসের সরদারের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি বিজিবির কাছে খবর আসে মোটর সাইকেলে এক চোরাকারবারি সোনা নিয়ে ভারতে পাচারের জন্য শার্শা উপজেলার পাঁচভুলাট গ্রামের দিকে আসছে। তাৎক্ষণিক বিজিবির টিম ওই গ্রামে অবস্থান নেয়। কিছু সময় পর নয়কোনা বটতলা কাঁচারাস্তা দিয়ে এক যুবককে মোটর সাইকেলে আসতে দেখে তাকে থামতে বলে বিজিবি। ওই ব্যক্তি মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির সদস্যরা তাকে আটক করে। পরবর্তীতে ওই মোটর সাইকেলে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৬৩টি সোনার বার জব্দ করা হয়, যার ওজন সাত কেজি ৩৩৭ গ্রাম। বাজারমূল্য পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ৩১ হাজার ১৯৪ টাকা। এ ঘটনায় বিজিবি ক্যাম্প শার্শার হাবিলদার নাসিম উদ্দীন বাদী হয়ে আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। সর্বশেষ বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণার দিনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক রাজ্জাকের উপস্থিতিতে এ কারাদন্ডের আদেশ দেন।