দিনাজপুর পলস্নীবিদু্যৎ সমিতি ১ এর গ্রাহক পরিচালক বোর্ডের সভাপতি, সহ-সভাপতি ও এলাকা পরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাদের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইলেকট্রিশিয়ান কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুর সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এতে অংশ নেন ১৩ উপজেলা থেকে আগত পলস্নীবিদু্যৎ সমিতি ১ এর ইলেকট্রিশিয়ান কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
পলস্নীবিদু্যৎ গ্রাহক পরিচালক সমিতির সভাপতি মঞ্জুমান আরা, সহ-সভাপতি মশিউর রহমান ও এলাকা পরিচালক সাজ্জাদুল ইসলামের একাধিক অনিয়মের অভিযোগ এনে জুলফিকার আলী বলেন, বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় এমপির ছত্র ছায়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাই এসব দুর্নীতিবাজ পরিচালক পর্ষদের সভাপতি, সহ-সভাপতি ও এলাকা পরিচালকের বিরুদ্ধে দ্রম্নত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ ও তাদের পদত্যাগের জোর দাবি জানান তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ইলেকট্রিশিয়ান কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস আলী ভুট্টো, সদস্য বেলাল হোসেন, ভুক্তভোগী ফয়জার রহমান প্রমুখ।
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, ঢাকায় ছিনতাইকারীর হাতে নৃশংসভাবে খুনের শিকার পত্নীতলার যুবক জাররাফ আহমেদ প্রীতম (২৮) হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকারীদের দ্রম্নত বিচার দাবিতে ছাত্র-জনতার উদ্যোগে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। বুধবার নজিপুর বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বরে উপজেলার সাধারণ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেমস, আব্দুল মুত্তালিব, শামিউল ইসলাম ছনি, রাফি, রাকিবুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় নজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রীতম হত্যাকান্ডের ২ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কেউ আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীদের দ্রম্নত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। নিহত প্রীতমের বন্ধু, ছোট ও বড় ভাইয়েরাসহ শিক্ষার্থীরা পস্ন্যাকার্ড কার্ড হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন।
উলেস্নখ্য, গত সোমবার রাতে নজিপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হয় প্রীতম। মঙ্গলবার ভোরবেলা ঢাকায় পৌঁছানোর পর ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন ও ছুরিকাহত হন। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় প্রীতমকে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।