শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

চৌদ্দগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় কয়েক শতাধিক মানুষ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
  ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
চৌদ্দগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় কয়েক শতাধিক মানুষ

ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানি এবং অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামের অধিকাংশ এলাকা পস্নাবিত হয়। ২২ আগস্টের ভয়ংকর কালোরাতের আগেরদিন ও পরদিন চৌদ্দগ্রামের কয়েক লাখ মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়। উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের ধোড়করা আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ৭-৮ শতাধিক মানুষ অবস্থান করে। এখানে মুসলমানদের পাশাপাশি বেশকিছু হিন্দু পরিবারও আশ্রয় নেয়।

সরেজমিনে ধোড়করা আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গত ২২ আগস্টের পর তারা চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু তাহের মজুমদার থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পাননি। এ নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে গত ২৬ আগস্ট চেয়ারম্যান কিছু পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। এ সময় আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের তোপের মুখে পড়েন চেয়ারম্যান আবু তাহের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

ইউনিয়নেরর সাঙ্গিশ্বর গ্রামের লতিফা বেগম জানান, 'গত ২২ আগস্ট নিয়ে এই আশ্রয়কেন্দ্রে আসি। মঙ্গলবার চেয়ারম্যান মুড়ি এবং এক প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে আমাদের দেখতে আসেন।' আশ্রয়কেন্দ্রের বয়োবৃদ্ধ মহিলা হালিমা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান একদিন এসে দেখে গেছেন। আমাদের খাবার, ওষুধ প্রদানে এ এলাকার স্বেচ্ছাসেবী ছেলেরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

শাকতলা গ্রামের প্রদীপ কুমার বলেন, 'আমাদের সব দায়িত্ব সাধারণ মানুষ পালন করছে। আমরা বাড়িতে কিংবা এখানে সরকারি কোন সহযোগিতা পাইনি। শাকতলা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ মহিলা হোসনেয়ারা বলেন, 'আমরা কোন সরকারি ত্রাণ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোন ত্রাণ পাইনি। মঙ্গলবার চেয়ারম্যান কিছু চিড়া মুড়ি ও শুকনো বাটার বন নিয়ে আসেন। আমরা বাড়িতে না থাকায় সামাজিক কোন সংগঠনের ত্রাণও পাইনি। তাই চেয়ারম্যান আসায় অনেকেই ক্ষুদ্ধ হয়।'

ধোড়করা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবক শফিউল ইসলাম জিয়া বলেন, এই আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বার কোন সহযোগিতা করেননি। এই দুর্যোগেও তাদের কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়।

স্থানীয় ইউপি সচিব রুহুল আমিন জানান, 'চলমান দুর্যোগে আমরা ৩ টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে ২টন চাল রাজনৈতিক নেতারা বিতরণ করবে বলে নিয়ে গেছেন।'

ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, বরাদ্দকৃত ২টন চাল রাজনৈতিক নেতারা বিতরণের জন্য নিয়ে গেছেন। তারা কোথায় দিয়েছেন জানি না। আশ্রয়কেন্দ্রের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি সাধ্যমতো মঙ্গলবার সহযোগিতা করেছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে