আখাউড়ায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মির্জাপুরে পুত্রবধূকে হত্যা করে শাশুড়ির দায় স্বীকার

প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুত্রবধূকে হত্যার পর দায় স্বীকার করেছেন শাশুড়ি। এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চুরির অপবাদে একজন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- স্টাফ রিপোর্টার টাঙ্গাইল ও কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুত্রবধূকে হত্যার পর দায় স্বীকার করেছেন ঘাতক শাশুড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে, গত মঙ্গলবার ভোরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরে। নিহত পুত্রবধূ গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ও ঘাতক শাশুড়ি খুলনা জেলার রূপসা থানার বাসিন্দা। ছেলের চাকরিসূত্রে তারা মির্জাপুরে থাকেন। কাশিয়ানী থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোস্টমটেম রিপোর্টের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ বেড হাসপাতালে পাঠায়। জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামে হাবিবুর রহমান শিকদারের মেয়ে সাবিকুন নাহার পপির সঙ্গে ২০২৩ সালে খুলনা জেলার রূপসা থানার দিয়ারা গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে রায়হান পারভেজের বিয়ে হয়। পারভেজের চাকরির সুবাধে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে পপি টাঙ্গাইল জেলার মীর্জাপুর উপজেলা সদরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ওই ভাড়া বাসায় মঙ্গলবার ভোরে শাশুড়ি পপিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী রায়হান পারভেজ ও শাশুড়ি লিপি বেগম লাশ নিয়ে কাশিয়ানীতে পপির বাবার বাড়িতে আসেন। তারা উপস্থিত সবাইকে জানান পপি ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন। লাশের শরীরে কয়েকটি ক্ষতচিহ্ন দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান আঞ্জুরুল ইসলাম এবং আশপাশের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে পপির শাশুড়ি হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি জানান- তার পুত্রবধূর বিভিন্ন অসুখ আছে। চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা খরচ হবে। তাই তিনি তাকে রাতে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। ভোরে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান শিকদার কাশিয়ানী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কাশিয়ানী থানার ওসি জিলস্নুর রহমান জানান, নিহতের বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে হেবজু মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হেবজু মিয়া ভাটামাথা গ্রামের মৃত ফুলমিয়ার ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের শাহ আলমের ঘর থেকে মঙ্গলবার একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় তারা প্রতিবেশী হেবজু মিয়ার স্ত্রীকে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে রাতে প্রতিবেশী রোমান মিয়ার বাড়িতে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাহ আলম ও তার স্ত্রী রেখা বেগম ঘরের ভাঙা চৌকাঠ দিয়ে বৃদ্ধ হেবজু মিয়াকে মারধর শুরু করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃতু্য হয়। ধরখার ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ এসআই মাসুদ বলেন, রাতেই লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।