কুমিলস্নার তিতাস থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে এখনো জমা পড়েনি ৬টি অস্ত্রসহ দুই সহস্রাধিক গুলি। যানবাহন ও আসবাবপত্র সংকট এবং ক্ষতিগ্রস্ত থানার অবকাঠামো ও পরিবেশ অনুকূলে না আসায় ঢিলেঢালাভাবে চলছে পুলিশিং কার্যক্রম। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে সেবাপ্রত্যাশীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট বিকাল থেকে পরদিন বিকাল পর্যন্ত থানায় হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত ৩টি গাড়ি ও নথিপত্রসহ পুরো থানা ভবন। লুট করা হয় পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি, সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র। এ সময় দুইজন পুলিশ সদস্য নিহত এবং ১০ পুলিশসহ শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় থানা ভবন পরিষ্কার করা হয়। ১২ আগস্ট সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কাজে ফেরেন পুলিশ সদস্যরা। তবে ঘটনার ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও পুরোপুরি চালু হয়নি থানার কার্যক্রম। থানার বাইরে কোনো কার্যক্রমে তাদের দেখা যাচ্ছে না। ফলে সেবাপ্রত্যাশীরা চরম বিপাকে পড়ছেন।
তিতাস থানার ওসি (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন জানান, 'তিতাস থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে অধিকাংশ অস্ত্র, জেলা ও পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে জমা পড়েছে। এখনো নাইন-এমএম-এর ৪টি পিস্তল, একটি এসএমজি ও একটি পাবলিক গানসহ ২০৩৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়নি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা রয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করছি, যাদের কাছে অস্ত্র-গুলি বা থানার সরঞ্জাম আছে সেগুলো যেন জমা দেয়।'
তিতাস থানার ওসি কাজী নাজমুল হক বলেন, 'অগ্নিকান্ডে থানার ৩টি গাড়ি পুড়ে গেছে। জেলা থেকে যে একটি গাড়ি দিয়েছে সেটিও ব্যবহার অনুপযোগী, প্রতিদিনই মেরামতের জন্য পাঠাতে হচ্ছে। পরিবহণের কারণে টহল টিম বিভিন্ন স্থানে যেতে না পারলেও আমরা সাধারণ জনগণের অভিযোগগুলো জমা নিচ্ছি। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে সবার আন্তরিক সহযোগিতা পেলে আমাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়ে উঠবে।'