নৌ-বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তিন জেলায় আরও ৩ জনের মৃতু্য

রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত

প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাস চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে বাসচাপায় নৌ-বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ঝালকাঠির নলছিটিতে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক ও সাতক্ষীরায় শ্রমিক নিহত হন। আমাদের আঞ্চলিক অফিস, বু্যরোপ্রধান ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট- রাজশাহী অফিস জানায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিসের মোড় এবং রাজাবাড়িহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মর্জিনা খাতুন (৫০), গোদাগাড়ী পৌরসভার শ্রীমন্তপুর মহলস্নার তাজিমুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৫০) ও বুজরুকপাড়া মহলস্নার মিলন আলী (৩৮)। এদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। তার অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন মিলন আলী। গোদাগাড়ী থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, বুধবার ভোর ৫টার দিকে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মর্জিনা খাতুন। রাজাবাড়িহাট এলাকায় একটি পিকআপ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিসের মোড়ে অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে উঠছিলেন মনিরুল ইসলাম। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে চালক মনিরুল ও যাত্রী মিলন আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওসি বলেন, অটোরিকশা চাপা দেওয়ার ঘটনায় বাসচালককে আটক করে তার বিরুদ্ধে সড়ক আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মর্জিনার মৃতু্যর ঘটনাতেও থানায় আলাদা আরেকটি মামলা হয়। চট্টগ্রাম বু্যরো জানায়, চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গায় বাসের নিচে চাপা পড়ে নৌ-বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল আবছারের (৫২) মৃতু্য হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় কাটগড় মোড়ে মন্দিরের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নুরুল আবছার পতেঙ্গা স্টিলমিল এলাকার বাসিন্দা ছগীর আহম্মদের ছেলে। স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পেছন থেকে একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃতু্য হয়। পরে স্থানীয়রা বাসটি আটক করে। তবে বাসচালক পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কিরণ হোসেন। তিনি বলেন, রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে আবছারের মৃতু্য হয়। তিনি নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য ছিলেন। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঝালকাঠি ও নলছিটি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির নলছিটিতে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে রিয়াদ তালুকদার (২৪) নামে এক যুবক নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের বরইতলা এলাকার ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ আলী নিশ্চিত করেছেন। নিহতের বন্ধু পিয়াল (২২) আহত হয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১১টায় বরইতলা এলাকায় ঝালকাঠিগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বরিশালগামী মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রিয়াদ তালুকদারকে মৃত ঘোষণা করেন। নলছিটি থানার ওসি মুরাদ আলী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা এলাকায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে সুনীল কুমার মন্ডল (৪৫) নামে একজন শ্রমিক নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। বুধবার ভোর ৬টার দিকে সদর উপজেলার পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুনীল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত উপেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে। আহতরা হলেন- বিনেরপোতা গ্রামে তারাপদ মন্ডলের ছেলে মনোহর মন্ডল (৪২), একই গ্রামের স্বপন শীলের ছেলে উত্তম কুমার শীল (৩৫), মৃত রবীন্দ্র দেবনাথের ছেলে বাবু দেবনাথ (৩৮), হরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে সুরঞ্জন বিশ্বাস (৩৪), রবীন্দ্রনাথ মলিস্নকের ছেলে প্রহলস্নাদ মলিস্নক (৪০), ফজলুর রহমানের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও প্রশান্ত মন্ডলের ছেলে বিরিঞ্চি মন্ডল (৫০)। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ইউপি মেম্বার বিশ্বনাথ জানান, সুনীলসহ ৮ জন একটি ইঞ্জিনভ্যানে সাতক্ষীরার দিকে ঘেরে মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। পথে ভোর ৬টায় সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড সাব-স্টেশনের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে আসা একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় পড়ে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান সুনীল। আহত হন সঙ্গে থাকা ৭ জন। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।