শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

সোনাতলা-গাবতলীর ১৫ কি.মি রাস্তা যেন ভয়ংকর মরণ ফাঁদ

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
সোনাতলা-গাবতলীর ১৫ কি.মি রাস্তা যেন ভয়ংকর মরণ ফাঁদ

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের বাউইটোনা থেকে চরপাড়া, কলেজ স্টেশন, সুখানপুকুর ভায়া গাবতলী পর্যন্ত সড়কে দেখা মিলবে ছোট ছোট অসংখ্য পুকুর। এটি যেন মরণ ফাঁদ। ওই সড়কে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে বিভিন্ন যানবহনের যাত্রীরা। সেই সঙ্গে মালামাল পরিবহণেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়িগুলো। এই ভোগান্তির মূল কারণ ওভারলোড গাড়ি।

সোনাকানিয়াসহ সোনাতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৪৫-৬০ টনের গাড়িতে বালু পরিবহণ করার কারণেই মূলত সড়কের বেহাল দশা। প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক ৪৫-৬০ টনের গাড়িতে বালু বহন করার ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেবে গিয়ে চলাচলের অনপযুক্ত হয়েছে। ওই সড়কের বয়রা ও চড়পাড়া এলাকায় দুটি টেকনিক্যাল স্কুল, সৈয়দ আহমদ এলাকার বটতলায় একটি কলেজ, হাইস্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এ ছাড়াও সড়কটি কয়েকটি বাজার ক্লিনিক, ডায়াগনেস্টিক সেন্টার এবং সিএনজি, ভ্যান স্ট্যান্ডসহ দৈনিক কয়েক হাজার লোকের যাতায়াতের পথ।

স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, তিন বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে বড় বড় গাড়িতে বালু নেওয়ার জন্যই এখন এমন অবস্থা হয়েছে। এই রাস্তায় কোনো গাড়ি যেতে চায় না। চাইলেও আগের চেয়ে ভাড়া বেশি দিতে হয়। আমাদের এখানে একজন ডাক্তার আছেন, তার কাছে প্রতিদিন একশ' থেকে দেড়শ' রোগী আসে চিকিৎসা নিতে। তাদেরও আসতে অনেক কষ্ট হয়।

চরপাড়া গ্রামের ছায়েদ আলী মোলস্না বলেন, এই রাস্তায় এত পরিমাণ গর্ত হয়েছে যে, একটু বৃষ্টি হলে গর্ত বোঝার উপায় নেই। তখন দুর্র্ঘটনা বেশি হয়। কয়েকদিন আগে ভ্যানগাড়ির এক্সেল ভেঙে গেছে। এ ছাড়াও সিএনজিচালিত অটোরিকশা কাত হয়ে যাত্রী পড়ে যায়।

একই এলাকার বিউটি বেগম বলেন, ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তায় চলতে হয়। বগুড়া থেকে এই এলাকায় আসার জন্য একটাই রাস্তা। বালুবাহী ট্রাক যাওয়ার কারণেই রাস্তাটা নষ্ট হয়ে গেছে। কবে যে, রাস্তা মেরামত করবে, এর ঠিক নেই।

উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, এই রাস্তাটি সড়ক ও জনপথের (সুওজ) অধীনে। বগুড়া সওজ'র নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, সড়কটি গাবতলী থেকে নাড়ুয়ামালা ও সুখানপুকুর হয়ে সোনাতলা পর্যন্ত রাস্তাটি এলজিইডির অধীনে। এলজিইডি বগুড়ার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ জানান, 'আলোচিত রাস্তাটি এলজিইডির অধীনে। ৫ বছর আগেই মেইনটেন্স করা হয়েছে। আমরা মেরামতের জন্য বাজেট পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।'

তবে এ ধরনের সড়কে কি পরিমাণ ভার বহন ক্ষমতা আছে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আসলে ওই রাস্তাগুলোতে যে ধরনের গাড়ি চলে, তা আমাদের নির্দিষ্ট লোড ক্যাপসিটিরি চেয়েও বেশি। যার কারণে ওইসব রাস্তা বেশি নষ্ট হয়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে