কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সরকার পরিবর্তনের সুযোগে ও প্রশাসনিক নজরদারীর দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তৎপর হয়েছে মাদক কারবারিরা। এখানকার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি সীমান্তঘেঁষা ইউনিয়নে জোরেশোরে শুরু হয়েছে মাদক ব্যবসা। প্রতিদিন এসব ইউনিয়নের সীমান্তগুলো দিয়ে দেদারসে মাদক পাচার হচ্ছে।
সীমান্তগুলো হচ্ছে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমন্ডপ, কৃষ্ণা নন্দবকশী, পূর্ব-পশ্চিম ফুলমতি, গজেরকুটি, বালারহাট, বালাটারী, খালিশাকোটাল, কুরুষা ফেরুষা, জায়গীরটারী, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াটারী, শিমুলবাড়ী, চৌপতি জুম্মারপাড়, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের ধারিয়ারপাঠ, বিদ্যাবাগীশ ঠোস, নাখারজান, উত্তর কুটিচন্দ্রখানা, কাশিপুর ইউনিয়নের গংগারহাট, কাশিপুর কাশিয়াবাড়ী, ধর্মপুর, ঘুঘুরহাট, অনন্তপুর, কদমতলা বালাবাড়ী, বেড়াকুটি, ফেলানী সীমান্ত ও হাজীটারী। এসব সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় মাদক গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ, স্ক্যাপ, ইয়াবসহ নানা ধরনের মাদক পাচার হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিতায় গত সোমবার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের বিদ্যাবাগীশ সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৪১/৫ এস পাশ দিয়ে পাচারের সময় ৩০০টি ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ফুলবাড়ী উপজেলার গংগারহাট বিওপির বিজিবি সদস্যরা।
আটকরা হলেন কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ী গ্রামের মৃত নমিজ উদ্দিনের ছেলে নিজামুদ্দিন (৪০)। অপরজন রাজারহাট উপজেলার বৈদ্যের বাজার মহেশখন্দ গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। ইয়াবা পাচারের সময় টহলরত বিজিবির সদস্যদের হাতে তারা আটক হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ফুলবাড়ী উপজেলার গংগারহাট বিওপির নায়েক সুবেদার বিলস্নাল হোসেন জানান, ইয়াবাসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ীর নামে ফুলবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।