জলাবদ্ধতা নিরসনে যশোরের অভয়নগরে সরকারি কালভার্টের মুখে দুটি অবৈধ বাঁধ ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বাঁধ দুটি ভেঙে ফেলা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বাগদাহ গ্রামের মধ্যপাড়া এবং একই ইউনিয়নের ডুমুরতলা গ্রামে সরকারি দুটি কালভার্টের মুখে ইটের প্রাচীর দিয়ে বাঁধ দিয়েছিল স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। সরেজমিন মঙ্গলবার সকালে বাগদাহ ও ডুমুরতলা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কালভার্টের মুখে বাঁধ দেওয়ার কারণে ওই এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি। অসংখ্য পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে গেছে।
বাগদাহ গ্রামের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বারবার চেষ্টা করেও বাঁধ ভাঙা সম্ভব হয়নি। কারণ বাঁধ দিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল।
সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলী বেগ সোনা বলেন, বাগদাহ গ্রামের মধ্যপাড়াসহ কয়েক গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ সেই কালভার্টের মুখে ইটের প্রাচীর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁধ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।
ডুমুরতলা গ্রামের হরিপদ বিশ্বাস বলেন, প্রভাবশালী মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা খালের মুখে কালভার্টে বাঁধ দিয়ে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। যে কারণে পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে। বাঁধ ভেঙে ফেলা হয়েছে শুনে খুশি হয়েছি। এবার পানি কমতে শুরু করবে। ইউএনও-কে এম আবু নওশাদ বলেন, 'সরকারি কালভার্টের মুখে অবৈধ বাঁধ এমন খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তা ভেঙে ফেলা হয়। পরবর্তীতে এ ধরনের কাজের সঙ্গে যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভয়নগরে জলাবদ্ধতার ঝুঁকি বিবেচনা করে বিভিন্ন খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ করার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি খালগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।'