নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের এক সৈনিক এখনো কাতরাচ্ছেন হাসপাতাল বেডে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হওয়ার পর খোঁজ নেয়নি কোনো সমন্বয়ক। এমনই একজন মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাজিতা গ্রামের শামিমুর রহমানের ছেলে রায়হান মাহমুদুল ওহিদ (২২)। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তিনি বরিশালে ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন সময় ৪ আগস্ট বরিশাল হাতেম আলী চৌরাস্তায় পুলিশের রাবার বুলেটে ঝাঁঝড়া হয়ে যায় তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ। এমতাবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুদিন সেখানে চিকিৎসার পর তার চোখ, মুখে ও মাথায় সমস্যা অনুভব করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএসে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সিএমএসের বার্ন ইউনিটের দুই নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত রায়হান বলেন, 'ওইদিন আমি আন্দোলনের সামনেই ছিলাম। হঠাৎ পুলিশের রাবার বুলেট এসে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্ধ হয়। এখনো কয়েকটি বুলেট শরীর ভেতর আছে। এগুলো অপারেশন করে বের করতে হবে। আমার চোখে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়াও মাথার ভেতর যেন কেমন অনুভূতি হয় এবং মুখের একপাশ অবস হয়ে যাচ্ছে। সিএমএসে আমাকে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধান দেখতে আসেন। কিন্তু কোনো সমন্বয়ক আমার খোঁজ নেয়নি।'
বাবা শামিমুর রহমান বলেন, আমার ছেলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য আন্দোলন করে রক্তাক্ত হয়েছে। এতে আমি গর্ববোধ করি। অনেক ছাত্র, জনতা এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। মায়ের বুক খালি হয়েছে। কিন্তু আমার ছেলে এখনো বেঁচে আছে। ওর সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করছি।'