গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনটি দীর্ঘ দিন ধরে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সুষ্ঠু সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। নজরদারী ও তদারকি না থাকায় চুরি হয়েছে ভবনটির জানালা, দরজাসহ প্রাচীরের ইট। চিকিৎসা কেন্দ্রের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে খড়ি কেনাবেচার দোকান।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ১২ কি. মি. দূরে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন কাটাবাড়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ১৯৯২ সালে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণত্রম্নটিসহ সংস্কার ও দেখভালের অভাবে নির্মাণের ৮-১০ বছর পর থেকে সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুয়ে পড়ত পানি। মাঝে মধ্যে খসে পড়ত ছাদের প্রলেস্তারা। পুরো ভবনের ছাদ আগাছায় ভরে যাওয়ায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই ভবনটি ৬ বছর আগে পরিত্যক্ত করা হয়। কিন্তু সেখানে স্থানীয়ভাবে তদারকির দায়িত্বে কেউ না থাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ইট চুরির পাশাপাশি হাসপাতাল ভবনের জানালা ও দরজা চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কলোনি গ্রামের আসমা বেগম বলেন, জ্বর সর্দি কাশির মতো ঠান্ডাজনিত রোগ, বয়ঃসন্ধিকালীন সেবা, গর্ভকালীন যত্ন এবং মা ও শিশুদের সেবা নিতে এসে তারা চিকিৎসকসহ নানা সংকটের কারণে সুষ্ঠু সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়ের হাসান শফিক মাহমুদ গোলাপ বলেন, 'স্থানীয়দের সুবিধা ও স্বাস্থ্য সেবার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে দ্রম্নত নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। আমি বারবার উপজেলা স্বাস্থ্য সেবার পরিচালনা কমিটির মিটিংয়ে এবং উপজেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সভায় এই স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের ব্যাপারে কথা বলেছি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহিদ বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৮ সাল থেকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন কমপেস্নক্স ভবনের একটি কক্ষে স্বাস্থ্য সেবা চালানো হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন পাঠিয়েছেন। নতুন ভবন হলে সেবা প্রদানে চিকিৎসা, জনবলসহ প্রয়োজনীও সুবিধা প্রদানে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।