তলিয়েছে নিম্নাঞ্চলের ফসল

ভারী বৃষ্টিতে আতঙ্কে ভেড়ামারার ৪ ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের মানুষ

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষেত -যাযাদি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের মানুষ আতঙ্কে মধ্যে দিনযাপন করছে। ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে নিম্নাঞ্চলের ফসল তলিয়ে গেছে। গত রোববার দুপুর পর্যন্ত ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। প্রমত্তা পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক। পদ্মার ভাঙন দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। আকস্মিকভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তা ও বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাসেল ভাইপারসহ বিভিন্ন বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়েছে। এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কয়েক দফা পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে পদ্মার পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও পুনরায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার জুনিয়াদহ, বাহাদুরপুর, মোকারিমপুর ও বাহিরচর ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের মানুষ আতঙ্কে দিনযাপন করছে। বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীঘেঁষা উপজেলার চার ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের মানুষ। ইতোমধ্যে চরের বেশ কিছু আবাদি জমিসহ পস্নাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিও নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। নদী-তীরবর্তী মানুষ আশঙ্কা করছেন, এবারও বন্যা হতে পারে। রোববার পর্যন্ত ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিমের দেওয়া তথ্য মতে, পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে রোববার পানির উচ্চতা ১১ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটার নিচে। তবে এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে নদীতে আর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বন্যার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন বলেন, প্রতিবছর পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে রায়টা বেড়িবাঁধে পানির আঘাত হানে। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারও তাই হয়েছে। দ্রম্নত পদক্ষেপ না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নসহ উপজেলার প্রায় অর্ধেক গ্রাম ডুবে যাবে। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় খোঁজ রাখা হচ্ছে। বন্যার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উঁচু ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। তবে নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিলে বন্যা দেখা দিতে পারে।