কুমিলস্নার তিতাসে দুই পুত্রবধূর কলহের জেরে প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় মেয়ের মামলায় পুত্রবধূ ও নাতনিসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, ঢাকার ধামরাইয়ে বাড়িতে এক যুবকের প্রেমিকা কলেজছাত্রী অনশন করেন। অন্যদিকে, সেই প্রেমিক কর্মস্থলে আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার তিতাসে দুই পুত্রবধূর ঝগড়া থামাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে শ্বশুরের মৃতু্যর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে হত্যা মামলা করলে স্থানীয় লোকজন তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আসামিদের সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহত আব্দুল হাকিম ফকির (৬৫) উপজেলার মজিদপুর গ্রামের ফকির বাড়ির বাসিন্দা।
জানা যায়, গত শনিবার রাতে মজিদপুর গ্রামের ফকির বাড়ির আব্দুল হাকিম ফকিরের বড় ছেলে ওমান প্রবাসী মিজান ফকিরের স্ত্রী লাভলী আক্তার ও ছোট ছেলে ওমান প্রবাসী খোকন ফকিরের স্ত্রী সীমা আক্তার উঠান পরিষ্কার করতে গিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। এ সময় দুই জা হাতাহাতি শুরু করলে শ্বশুর আব্দুল হাকিম ফকির তাদের থামাতে চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে লাঠির আঘাতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, গত রোববার সকালে নিহতের বড় মেয়ে শেফালী আক্তার বাদী হয়ে বড় ভাবী, দুই ভাতিজি ও বড় ভাবীর মা'কে আসামি করে তিতাস থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিন বিকালে স্থানীয়রা আসামি লাভলী আক্তার, তার দুই মেয়ে মহিমা আক্তার ও ফাতেমা আক্তারকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
তিতাস থানার ওসি কাজী নাজমুল হক জানান, আটক তিনজনকে সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃতু্যর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন করার খবরে কর্মস্থলেই পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন সরকারি চাকরি করা এক প্রেমিক। আত্মহত্যার খবর পেয়ে বাড়িতে অবস্থান করা প্রেমিকাকে আটক করেছে বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরশ গ্রামে। আর আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে। প্রেমিক বিকাশ চন্দ ওই মনপুরা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের কুলস্না ইউনিয়নের চৌটাইল গ্রামের ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে থেকেই উপজেলা বেরশ গ্রামের রামানন্দ চন্দ্রের ছেলে বিকাশ চন্দ্রের প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্প্রতি প্রেমিকা জানতে পারেন, বিকাশ অন্য কোথাও বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খবর পেয়ে প্রেমিকা বিয়ের দাবি নিয়ে গত ১৭ আগস্ট প্রেমিকের বাড়ি বেরশ গ্রামে অনশন করেন। এভাবে কয়েকদিন পার হলেও বিকাশ বিয়ের জন্য কর্মস্থল মনপুরার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে বাড়িতে আসেননি। কিন্তু মানসিক অশান্তিতে ভুগতে থাকেন। সোমবার সকালে মনপুরা সরকারি ভবনের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনপুরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফজলুল হক।