খুলনার ডুমুরিয়ায় পানি নিষ্কাশনের জন্য শোলমারি ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের সামনে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজ শুরু করেছে। এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ। রোববার সকাল থেকে ডুমুরিয়া, রংপুর, গুটুদিয়া ও রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শতশত লোক স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজে নেমে পড়েন। সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরাফাত হোসেন গেটটি পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, পলিপড়ে শোলমারী ১০ ভেন্টের রেগুলেটর দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। বিলডাকাতিয়া, রংপুর, গুটুদিয়া, রঘুনাথপুর ও ডুমুরিয়াসহ আশপাশ এলাকার পানি সরবরাহ একমাত্র পথ শোলমারী স্স্নুইজ গেট। পলিতে ভরাট হওয়ায় এ গেট দিয়ে বের হতে পারছে না পানি। আর এতে পস্নাবিত হচ্ছে এসব এলাকা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমন ঘটনা ঘটে আসছে ৫-৬ বছর ধরে। এবার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজের নেতৃত্বে পস্নাবিত এলাকার শতশত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজে নেমে পড়েছেন।
গেট পরিদর্শনে এসে ডুমুরিয়া কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি ও মঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র বৈরাগী বলেন, গেটের মুখে পলি অপসারণ করতে না পারলে ক্রমন্বয়ে এ অঞ্চলের সব এলাকা পস্নাবিত হবে। বিএনপি নেতা মোল্যা মোশাররফ হোসেনের ডাকে ব্যাপক সাড়া দিয়ে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত মানুষ পলি অপসারণ কাজে নেমে পড়েছেন। তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন এলাকার মানুষকে একাজে অংশ গ্রহণের জন্য ট্রাক, আলমসাধুসহ বিভিন্ন গাড়ি পাঠিয়েছেনও মোল্যা মফিজ।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ বলেছেন, 'ডুমুরিয়াসহ উত্তরাঞ্চলের ৫-৬টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির মৎস্য ঘের, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কাঁচা বসতবাড়ি। পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার ফসলী জমিসহ ঘের বাঁচাতে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি।' তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য তিনি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।
উলেস্নখ্য, শোলমারি ১০ ভেন্ট রেগুলেটরে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দে দুইটি মটর স্থাপন প্রকল্প অনুমোদিত রয়েছে, যা টেন্ডারও হয়েছে দীর্ঘদিন আগে। কিন্তু অজ্ঞাতকারণে ঝুলে আছে মটর স্থাপনের কাজ। যে কারণে হুমকিতে পড়েছে বৃহৎ এই এলাকা। শিগগিরই মটর স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।