মেহেরপুরের গাংনীতে একদিনে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। রোববার রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৭ জনের শরীরে ডেঙ্গু এনএস-১ পজেটিভ পান চিকিৎসকরা। এ ছাড়া গত ৭ দিনে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ২৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা গেছে, সম্প্রতি আবহাওয়াজনিত কারণে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক ও ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করেন। অনেকেই সুস্থ হলেও বেশিরভাগ রোগী আসছেন স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে। এখানে রক্ত পরীক্ষা করলেই মিলছে ডেঙ্গুর জীবাণু। গেল বছর আগস্টে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ জন। আর চলতি বছরের গত এক সপ্তাহে ২৩ জনের রক্তে পাওয়া গেছে ডেঙ্গুর জীবাণু।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ধানাখোলা গ্রামের ইয়াদ আলী জানান, 'গত শুক্রবার থেকে শরীরে জ্বর ও প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করছিলাম। হঠাৎই জ্বরের মাত্রা ১০৩-১০৪। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে কোনো ফল না পেয়ে রক্ত পরীক্ষা করে। ফলাফলে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই।' হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নেবেন বলে জানান।
গাংনী থানা পাড়ার শরিফুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ১০ দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ জ্বর এলে শরীর কেঁপে ওঠে ও চোখ-মুখ লাল হয়ে যায় বলেও জানান এই রোগী। পরিস্থিতি ভালো না থাকায় তিনি স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি হয়েছেন। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গাংনী পৌরসভা থেকে গত ২ বছরের মধ্যে কোনো মশা নিধনের জন্য কোনো প্রকার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান, প্রতিদিনই হাসপাতালে সম্ভাব্য ডেঙ্গু রোগীর ভিড় বাড়ছে। হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষা করে রোববার ৭ জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিরা বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল উলেস্নখ করে তিনি আরও জানান, প্রতিরোধ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে এডিস মশা। বাড়ির পাশে ময়লা-আবর্জনা না ফেলা ফুলের টবের পানি পরিষ্কার রাখা এবং মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন এই কর্মকর্তা।