কুমিলস্নার তিতাসে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না শিশু সামিয়া ও আয়েশা আক্তারের। রোববার বেলা ১১টায় মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই চাচাত বোন বাঘাইরামপুর ও দুঃখিয়ারকান্দি রাস্তার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পানির স্রোতে পাশের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়। এক ঘণ্টা পর সামিয়া আক্তার (১০) উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছে আয়েশা আক্তার (১০)। উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের বাঘাইরামপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি মুক্তার হোসেনের মেয়ে সামিয়া আক্তার এবং আয়েশা আক্তার একই গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী মনির হোসেনের মেয়ে।
জানা যায়, বাঘাইরামপুর গ্রামের মুক্তার হোসেন ও মনির হোসেন আপন দুই ভাই। মুক্তারের দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সামিয়া বড়। মনিরের দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে আয়েশা বড়। দুই চাচাতো বোন নয়াকান্দি বাজারের খাদিজাতুল কোবরা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। রোববার পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিল তারা। দুঃখিয়ারকান্দি ও বাঘাইরামপুর সংযোগ রাস্তা দিয়ে বন্যার পানির স্রোত প্রবাহিত ছিল। তারা রাস্তা পার হতে গিয়ে স্রোতের মধ্যে রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা দেড় ঘণ্টা পর সামিয়া ও আয়েশাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
নয়াকান্দি বাজারের খাদিজাতুল কোবরা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার মুফতি হজরত আলী জানান, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিজ দায়িত্বে মাদ্রাসা নিয়ে আসবেন ও নিয়ে যাবেন এমন নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আজকে সামিয়া ও আয়েশার আক্তারের কোনো অভিভাবক আসেনি। তাদের বাড়ির আরেকজন অভিভাবক চারজন বাচ্চা দিয়ে বাড়ি ফিরতে ছিল। ওই অভিভাবক দুইজন বাচ্চাকে স্রোতের অংশটি পার করে তাদের নেওয়ার জন্য আসতে চাইলে তারা আসতে পারবে বলে নিষেধ করে। কিন্তু এক মিনিটের মধ্যেই পা পিছলে তারা গর্তে পড়ে যায়।