বাংলাদেশ প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কুমিলস্না ইপিজেডের ভেতরে অবস্থিত সব কোম্পানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পানি অল্প থাকায় কুমিলস্না ইপিজেডের কোম্পানিগুলো বন্ধ না করলে ইপিজেডে চাকরিরত কর্মচারীরা বিক্ষোভ করে অফিস বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। এক পর্যায়ে চাপের মুখে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ সব কোম্পানি বন্ধ করে দেয়।
শুক্রবার রাত থেকে অল্প অল্প করে পানি আসতে থাকলেও শনিবার দুপুরে পানি বেড়ে ভেতরে অবস্থিত কোম্পানিগুলো কাদেনা বেনড্রিকস, নাসা শ্রম্নতি, গোল্ডেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল, পিওয়াই, আরএন টেক্সটাইল এবং নিউবেনড্রিকসসহ ৪৯টি কোম্পানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটি দেওয়া হয়েছে সব কর্মচারীকে।
ইপিজেডে অবস্থিত কাদেনা কোম্পানির কর্মকর্তা আহসান হাবিব কাওসাইন বলেন, সকালে পানি অল্প ছিল কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির পরিমাণ বেশি হলে আমাদের অফিস কাদেনাসহ সব কোম্পানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বেনড্রিকসের রেহানা আক্তার জানান, সকালে অফিসে পানি দেখে কর্মচারীরা বিক্ষোভ করলে আমাদের অফিস সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয়। ইপিজেড ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন জানান, কুমিলস্না ইপিজেডের ভেতরে মোট ৪৯টি কোম্পানি রয়েছে। সকালে এ কোম্পানিগুলোতে পানিতে ঢুকতে শুরু করে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি বৃদ্ধি পেলে ইপিজেডের সব কোম্পানি বন্ধ করে দেয় ইপিজেড কর্তৃপক্ষ। ইপিজেড অঞ্চলের নিরাপত্তায় সর্বক্ষণিকভাবে পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।