জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেন তিনি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, তিন জেলা পরিষদ যাতে এই পার্বত্য এলাকার মানুষের হয়ে কাজ করতে পারে সেভাবে করা হবে। গ্রহণযোগ্য মানুষ নেওয়া হবে। জেলা পরিষদ যাতে কোনো দলীয় লোকের পুনর্বাসন কেন্দ্র না হয় সেভাবে করার চেষ্টা করা হবে।
পাহাড়ের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সবার সঙ্গে মিলে কাজ করার অঙ্গিকার করে তিনি আরও বলেন, 'এই এলাকার যাতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় তার চেষ্টা করব। শিক্ষা ক্ষেত্রে পাহাড়ের মানুষ অনেক পিছিয়ে। তাই এদিকে আমার সুদৃষ্টি থাকবে।'
দুর্গম এলাকায় ছাত্রছাত্রী হোস্টেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তিন পার্বত্য এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, জেলার স্বাস্থ্যসেবা অনেক অনুন্নত, জেলার মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম বা ঢাকায় যেতে হয়। কাপ্তাই হ্রদের নাব্যতা কমে গেছে, হ্রদের ড্রেজিং জরুরি। একই সঙ্গে হ্রদের পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে, তা কমাতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় জানানো হয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকহীন হয়ে আছে। দ্রম্নততম সময়ে শূন্য পদে নিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধির।
এছাড়া এনটিআরসি থেকে পাহাড়ের উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে আসতে চান না, তাই পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানান বক্তারা।
ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ থাকায় পাহাড়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখায় না শিল্প উদ্যোক্তরা। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান হয় সভায়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বাঞ্চিতা চাকমা, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুলিকা খিসা, প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে।