লক্ষ্ণীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে শুক্রবার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন খাল ও জলাশয় থেকে অর্ধশতাধিক অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেছে। এতে পাউবো বাঁধের ভেতর ও বাহিরে অধিকাংশ সড়কের পানি নেমে গেছে।
সূত্র জানায়, অতি বর্ষণ ও উজানের পানি রামগঞ্জ পৌরশহরসহ ১০টি ইউপির ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। এলাকাবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মিড়িয়াকর্মীদের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার বিষয় নিশ্চিত হয়ে ইউএনও শারমিন ইসলামের সার্বিক তত্ত্ব্বাবধানে এসিল্যান্ড দেব্রবত দাশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন খাল ও উন্মুক্ত জলাশয় থেকে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী বাঁধ, জাল ও আন্টা, খড়া জালসহ বিভিন্ন সরাঞ্জম জব্দ এবং বিনষ্ট করেন।
এসিল্যান্ড অফিসের নাজির মো. মাহাফুজ খান বলেন, অভিযানে পদ্মা বাজারে শাখা খাল, পানপাড়া ওয়াপদা খাল, পানপাড়া বাজার খালের অংশ, লামচর ইউনিয়নের বেড়ি বাজার সংলগ্ন খাল, রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন খাল, রামগঞ্জ-লক্ষ্ণীপুর সড়কের মঠের পোলের ওপর সংযোগ খাল, বেড়িবাজার হতে ডাজ্ঞাতলী ওয়াপদা (পাউবো) খালসহ প্রায় অর্ধশতাধিক জায়গায় অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য বাঁধ তৈরি করা হয়। এতে অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ভয়াবহ জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসিল্যান্ড দেবব্রত দাশ অভিযান চালিয়ে সব বাঁধ অপসারণ করেছেন। এছাড়া আইয়েনগর ও দরবেশপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় পানির প্রবাহ সচল করতে বেশ কিছু বাঁধ কাটা হয়। এসিল্যান্ড দেবব্রত দাশ বলেন, রামগঞ্জের সর্বসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই ধরনের অভিযান আরও বেগবান হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।