অতিবর্ষণে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে শোলমারী রেগুলেটর পরিদর্শনপূর্বক কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণে বিলডাকাতিয়া, শাহাপুর, রামকৃষ্ণপুর, মাধবকাটি, খলশী, মির্জাপুর, কাটাখালীসহ বিভিন্ন বিলের পানি নিষ্কাশনে সুব্যবস্থা না থাকায় এবং খাল-জলাশয়গুলোতে কতিপয় প্রভাবশালী কর্তৃক নেট-পাটা ও বাঁধ দিয়ে রাখায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এ থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উনয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা শুক্রবার বিকালে শোলমারী স্স্নুইস গেট পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ডুমুরিয়া ও বিলডাকাতিয়াসহ আশপাশের সব বিলের পানি শোলমারী ১০ ভেন্টের স্স্নুইস গেট দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে আসছে। বর্তমান স্স্নুইজ গেটের মুখে আবারও পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। এতে পানি নিষ্কাশন একেবারই বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকায় এ বছরও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গত বছর অক্টোবর মাসে বিল ডাকাতিয়া অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিলে জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে পলি অপসারণসহ নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনার মধ্যদিয়ে গেটের কপাট সচল করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের পর স্স্নুইজ গেটে পানি সরবরাহ বন্ধ রাখার ফলে ক্রমান্বয়ে আবারও গেটের মুখে পলিপড়ে বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আবারও অচল হয়ে পড়েছে। যার প্রেক্ষিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বিলগুলোতে। এলাকার মানুষ গেটের সামনে জমা পলি অপসারণের দাবি জানান।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, 'শোলমারী গেটের মুখে পলি জমার ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পরিস্থিতি দেখে স্কেভেটর দিয়ে পলি অপসারণ কাজ শুরু করিয়েছি।'
বিএনপি নেতা মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ বলেন, 'অবিলম্বে সমগ্র ডুমুরিয়ার পানি নিষ্কাশনে আমরা স্বেছাশ্রমে গেটের সামনে থেকে পলি অপসারণ করব।' রংপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সমরেশ মন্ডল বলেন, জরুরি ব্যবস্থা নিতে পারলে আমাদের শেষ রক্ষা হবে। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পলি অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে।