শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

শ্রীমঙ্গলে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
শ্রীমঙ্গলে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর আমন ধানের ক্ষেত ও আগাম চাষ করা শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। ভেসে গেছে শতাধিক মাছের খামার। এমনকি, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এবং মাটি সরে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট। কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজানের ঢলে হাওড়ে বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে বানের পানি। এতে হাওড়ের পাদদেশে শত শত হেক্টর আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে, এদিকে টানা বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাকা আউস ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা। কিছু কিছু এলাকায় বসতভিটায় উঠেছে বন্যার পানি। ফলে গৃহবন্দি হয়েছেন হাওড় পাড়ের মানুষ।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার হাইল হাওড়, বাইক্কাবিল, জতরপুর, ভুনবীর, পাচাউন, কালাপুর, ভৈরববাজার, সিন্দুরখান, সাতগাঁও, লামুয়া গ্রামের শত শত একর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ধান ক্ষেতে থৈ থৈ করছে পানি। মাছ শিকারিরা বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন।

এদিকে, উপজেলার বেশ কয়েকটি মৎস্য খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। অন্তত কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে।

উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাচাউনকিলগাঁও এলাকার কৃষক মইনুল ইসলাম গেদু বলেন, 'আমার চার বিঘা আমন ক্ষেত রয়েছে পানির নিচে। চোখের সামনে ক্ষেতের সব ধান পানিতে ডুবে রয়েছে। কাটাও যাচ্ছে না আধা পাকা ধানগুলো। চোখের সামনেই ধান পানির নিচেই পচে নষ্ট হয়ে যাবে।

একই ইউনিয়নের জতরপুর গ্রামের মাছচাষি কামাল মিয়া বলেন, আমার সাতটি মাছের খামার তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মাছ হাওড়ে ভেসে গেছে। ২০০৪ সালের পর এ বছরই শ্রীমঙ্গল হাইল হাওড়ে বন্যার পানি বেশি হয়েছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল উপজেলার লামুয়া গ্রামের কৃষক শামসুল হক।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারাজুল কবীর বলেন, টানা বৃষ্টিতে অনেক মাছের খামার বন্যার পানিতে তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। উপজেলার প্রায় সাড়ে আটশ' পুকুর ও খামারের মাছ এবারের বন্যার পানিতে ভেসে ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ১৫ কোটি টাকার।

শ্রীমঙ্গল ইউএনও আবু তালেব বলেন, 'শ্রীমঙ্গলের কিছু এলাকায় বন্যার পানিতে আমন ধান তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে বরুণা, হাজীপুর, হাইল হাওড়, বাইক্কাবিল, কালাপুর, পাচাউন, জতরপুর এলাকার আমন ধানের ক্ষেত ও খামার ডুবে গেছে। খামারের মাছ হাওড়ে ভেসে গেছে। অন্য উপজেলার তুলনায় শ্রীমঙ্গলে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমরা ওইসব এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাচ্ছে না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে