পাহাড়ধস-বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী
প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
লাগাতার বৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে নানিয়ারচরের বেশকিছু বাড়িঘর, কৃষিক্ষেত ও রাস্তাঘাট। গত একসপ্তাহ থেকে প্রচন্ড মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে পস্নাবিত হয়েছে উপজেলার কিছু নিম্ন অঞ্চল।
পাহাড়ধস ও পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি মাটির ঘর। বুড়িঘাট ও ঘিলাছড়ি, সাবেক্ষন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পাহাড় ধসে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। নানিয়ারচর উপজেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উৎপাদিত ফসলের। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন স্থানে আনসার ও ভিডিপি তৎক্ষণাৎ পাহাড় ধসে রাস্তা সংস্কারে সাহায্য করাতে এলাকাবাসী খুশি হয়েছেন।
রাঙামাটিতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে রাস্তায় মাটি সরাতে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। রাঙামাটির বিলাইছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর উপজেলায় চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের কাজ করতে দেখা গেছে। উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের বলির বাগানের পাহাড় ধসে রাস্তা সংস্কার এবং ১৮নং টিলার কুটির শিল্পসংলগ্ন রাস্তায় পাহাড়ি ঢলে মাটি পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আনোয়ার জাহেদের নির্দেশে হিল ভিডিপি সদস্যরা মাটি সরিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, যেকোনো দুর্যোগে আনসার ও ভিডিপি সবসময় রাঙামাটির জনগণের পাশে আছে এবং মহৎ ও জনবান্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
এদিকে পাহাড় ধসে যাতে যান চলাচল বিঘ্নিত না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান। সরেজমিন বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। খোঁজ রাখছেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। তিনি গণমাধ্যমকে জানান দল মত-নির্বিশেষে দুর্যোগকে কাঠিয়ে উঠতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ইউএনও আমিমুল এহসান খান জানান, পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। সংকট মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপজেলা ও ইউনিয়নে নয়টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে নানিয়ারচর মডেল স. প্রা. বি. বগাছড়ি পুনর্বাসন স. প্রা. বি. বুড়িঘাট বাজার স. প্রা. বি. ঘিলাছড়ি স. প্রা. বি. উচ্চ কেংগালছড়ি স. প্রা. বি. গর্জনতলী স. প্রা. বি. বড়পুল পাড়া স. প্রা. বি. চন্দ্রসেন মহাজন পাড়া স. প্রা. বি. বুড়িঘাট পুনর্বাসন স. প্রা. বি.। তবে এসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে কাউকে আশ্রয় গ্রহণে দেখা যায়নি। অন্যদিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের তৈচাকমা ও রাঙ্গিপাড়ার নিম্ন অঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দি রয়েছে আনুমানিক ১৫-২০ পরিবার। উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির টিমকে দুর্যোগ মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সর্বস্থরের জনসাধারণ।