বগুড়ায় জেলা জজকে প্রত্যাহার দাবিতে আন্দোলন

প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় আদালতের বিভিন্ন কক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলন করেছে আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে প্রত্যাহার দাবিতে এই আন্দোলন করেন তারা। এ সময় তাদের আন্দোলনে একত্বতা প্রকাশ করে বগুড়া বার আইনজীবী সমিতি এবং বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিল বগুড়া ইউনিটের সদস্যরা। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- বগুড়া বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান মুক্তা, সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন সাইফুল, অ্যাডভোকেট ফেরদৌসুর রহমান। আন্দোলনরতদের অভিযোগ বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী নানাভাবে বিচারিক কার্যক্রমকে কলুষিত করেছেন। নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা দাবি করে বিরোধী মতের রাজনীতিকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন। দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় করেছেন। তিনি কখনো কোনো মামলার রায় লেখেননি। সাক্ষীও নেননি। জোর করে মামলা মীমাংসা ছাড়া কোনো রায় তিনি দিতে পারেননি। কেবলমাত্র দলকানাভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন সব জায়গায়। আওয়ামী সরকারের পতন হলেও তারমতো একজন দলবাজ বিচারক বহাল তবিয়তে থাকার কোনো অধিকার রাখেন না। ফলে বৃহস্পতিবার তার অপসারণ দাবিতে ফুসে উঠে সব কর্মকর্তা কর্মচারী। বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিল বগুড়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ কোনো দিন বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করেননি। তিনি দলীয় ক্যাডার হিসেবে বিএনপি জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মীকে জেল হাজতে রাখেন বছরের পর বছর। তিনি নিজেকে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। আমরা অনতিবিলম্বে তার প্রত্যাহার দাবি করছি। এ বিষয়ে বগুড়া অর্থঋণ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, 'বগুড়া জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিরোধী মতের মানুষদের উপর স্টিম রোলার চালিয়েছেন। বিগত সরকারকে টিকে রাখার জন্য তিনি নানা ধরনের অপকর্ম করেছেন। আমরা সবাই দ্রম্নত সময়ের মধ্যে বগুড়া থেকে তার প্রত্যার দাবি করছি। সেই সঙ্গে কর্মকর্তা কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবিকে আমি সমর্থন করছি।'