খাগড়াছড়ি রামগড়ে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে খাগড়াছড়ি-বারৈইয়ার হাট সড়কে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছ। শিগগিরই সড়কে চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ধর্মজ্যোতি চাকমা। যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে জরুরি সেবা অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসসহ সবধরনের পরিবহণ আটকা পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে দূরপালস্নার যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। জনদুর্ভোগ লাগবে দ্রম্নত মাটি অপসারণ কাজ করছে সওজ। এ কাজে শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি।
সওজর রামগড় অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী ধর্মজ্যোতি চাকমা বলেন, 'বৃহস্পতিবার দুপুরে পাহাড় ধসে পরার কারণে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে সড়কে চলাচল স্বাভাবিক করতে দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি অপসারণের কাজ শুরু করি। এখনো কাজ চলছে, আরও দুটি ভোল্ড ড্রেজার কাজে লাগানোর জন্য আনা হচ্ছে। শিগগিরই চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রামগড় ইউনিয়নের দাতারাম পাড়াসংলগ্ন রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের পাইনা টিলা নামক স্থানে পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ সড়কের উপর আঁছড়ে গলে পড়ে। তাতে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পায়ে হেঁটেও মানুষ পারাপার হতে পারছে না। স্থানীয়রা গাছপালা কেটে একপাশে পরিষ্কার করে দিলে তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে কিছু মানুষ পার হচ্ছে। রাস্তার দুইপাশে সিএনজি বাস ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়িগুলো সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে। দুটি ড্রেজার দিয়ে মাটি সরানোর কাজ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৮০ শতক জায়গা নিয়ে পাহাড়টি দ্বিখন্ডিত হয়ে ধসে পড়ে। পার্বত্য অঞ্চলে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের নজির থাকলেও এত বড় পাহাড় ধসের খবর আমাদের জানা নেই। এছাড়াও সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট আকারে পাহাড় ধসে পড়ার খবর পাওয়া যায়।