কয়রা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলার বেদকাশী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট শশাংক শেখর রায়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও কর্মফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সচেতন নাগরিক সমাজ স্বাস্থ্য পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ফার্মাসিস্ট শশাংক শেখর রায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর একই কর্মস্থলে চাকরি করে আসছেন। সরকারি কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী তিন বছরের বেশি একই কর্মস্থলে থাকার নিয়ম না থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একই কর্মস্থলে কর্মরত আছেন। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট শশাংক শেখর রায় সরকারি কর্মফাঁকি দিয়ে ডাক্তার না হয়েও রোগী দেখার জন্য ব্যস্ত থাকেন। তিনি মেডিসিন, হার্টের রোগী, গাইনী ও শিশু রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তার পছেন্দের ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে পছন্দ মত ওষুধ লিখে থাকেন। তিনি বিগত ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই স্ত্রী অমরী রানী রায়ের মালিকাধীন কপোতাক্ষ ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন, যার রেজি. নং ৩৫৫২। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেও সু-চতুর শশাংক শেখর রায় অদৃশ্য ক্ষমতাবলে ডাক্তার না হয়েও নিয়মিত কপোতাক্ষ ক্লিনিকের প্যাডে চিকিৎসা পরামর্শপত্র দিয়ে আসছেন। রোগীদের প্যাথলজিক্যাল টেস্ট দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকেন। ভুল চিকিৎসার কারনে কোন রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তার চুক্তিকৃত খুলনাসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠান এবং রোগী ও ক্লিনিক মালিকের কাছে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। এ ব্যাপারে শশাংক শেখর রায় বলেন, 'আমি মানুষের সেবা দিয়ে থাকি। যে যা দেয় তাই নিয়ে থাকি। আমার চাকরি আর ২-৩ বছর আছে। তারপরেও যদি আমাকে চলে যেতে হয় যাব।' উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, 'ফার্মাসিস্ট শশাংক শেখর রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।' খুলনার সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।