সীমান্তবর্তী নদীর পানি বেড়ে দ্বিতীয় দফায় ডুবছে ৩ জেলা
পস্নাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়েছে কৃষি জমি, মাছের ঘের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি
প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
খোয়াই, জুড়ী ও গোমতী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট উপচে ৩ জেলার লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯০ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ওই সব জেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি, মাছের ঘের। পস্নাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জে তিন উপজেলার ১৩টি স্থানে খোয়াই নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে অনবরত হাওড়ে পানি ঢুকলেও নদীর পানি বৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ ও চুনারুঘাট উপজেলায় খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ফলে সদর উপজেলার তেঘরিয়া, গোপায়া, লস্করপুর, তেতৈয়া, মশাজান, ভাদৈ; শায়েস্তাগঞ্জের চর হামুয়া, কলিমনগর, বাতাস্বর, পাইকপাড়া, রাঙ্গেরগাঁও এবং চুনারুঘাট উপজেলার রামশ্রী, করিমপুর ও গাজীগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে ও হাওড়ে পানি প্রবেশ করছিল। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় অনেক বসতবাড়ি পস্নাবিত হচ্ছে। লোকজন গবাদি পশু ও জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছেন।
স্থানীয়রা জানান, টানা দুই দিন ধরে জালালাবাদ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধে প্রায় ২০০ ফুট প্রস্থ ভাঙন দিয়ে হাওড়ে পানি প্রবেশ করছে। এ পানি হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও বানিয়াচং উপজেলার হাওড়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন থেকে তথ্য দেওয়া হয়- বন্যার পানিতে হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, মাধবপুর, চুনারুঘাট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। প্রস্তুত করা ১৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৪০ পরিবার উঠেছে। বন্যাকবলিতদের জন্য সরকারি ১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার ৬০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, চুনারুঘাটের বালস্না পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭৭ সেন্টিমিটার, শায়েস্তাগঞ্জে ১৭৩ সেন্টিমিটার ও সদর উপজেলার মাছুলিয়া পয়েন্ট ১৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত শহরতলীর আনোয়ারপুর এলাকার বেশ কিছু বাড়িঘর নদীর বাঁধ উপচে আসা পানিতে পস্নাবিত হয়েছে। দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, বন্যাকবলিতদের সহায়তায় বানিয়াচং ব্যতীত জেলার অন্য ৮টি উপজেলায় ৮৯০ জন ভলান্টিয়ার প্রস্তুত করেছে জেলা প্রশাসন। তারা মাঠপর্যায়ে বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতা করবে। ভলান্টিয়ারদের মধ্যে মাধবপুরে ১৩৮ জন, চুনারুঘাটে ১১০ জন, বাহুবলে ৪০ জন, নবীগঞ্জে ১৪০ জন, আজমিরীগঞ্জে ১১০ জন, লাখাইয়ে ৮০ জন, শায়েস্তাগঞ্জ ৫১ ও হবিগঞ্জ সদর ২২১ জন।
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তৃতীয় দফা বন্যার কবলে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা। সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওড় এলাকাজুড়ে আবারো দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়ে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯০ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৪০ হেক্টর কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার উপজেলার ফুলতলা, সাগরনাল ও জায়ফরনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, টানা বর্ষণ ও উজান (ভারতের ত্রিপুরার ধর্মনগর ও কৈলাশহর) থেকে নেমে আসা ঢলে আকস্মিক বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন বন্যা আক্রান্ত লোকজন। বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন বানভাসি মানুষ। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শুকনো ও রান্না করা খাবার বিতরণ করছে।
ফুলতলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ জানান, সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়, সকালে বিভিন্ন বাড়ির উঠোন ও ঘরের একাংশ পানিতে ডুবে গেছে। পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘরের শুকনো অংশে কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই। পানি এখন কমতে শুরু করেছে।
এদিকে সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলাসাঙ্গন গ্রামে আমন ধান বন্যায় তলিয়ে গেছে। সেখানকার প্রায় সব কৃষকের একই অবস্থা। এবার ধান ঘরে তোলার আশা ছেড়ে দিয়েছেন তারা।
বন্যায় জুড়ী-বিটুলী আঞ্চলিক মহাসড়কসহ ওই এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। জুড়ী-লাটিটিলা সড়কের বিস্তর এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বাবলু সূত্রধর জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম পস্নাবিত হয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৬৩৯০টি পরিবারের লোকজন পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এখন পর্যন্ত ২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্ত মানুষের জন্য ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার ও বুড়িচং (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্না বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে ৪২টি গ্রাম পস্নাবিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় বাঁধ ভাঙার এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বুরবুড়িয়া এলাকায় ভাঙন প্রায় ৩০০ ফুট ছাড়িয়েছে। অস্বাভাবিক স্রোত এবং পানির উচ্চতায় পস্নাবনের কারণে প্রতিনিয়ত তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্গত হচ্ছে হাজারো মানুষ। বেড়িবাঁধের আশেপাশের লোকজন আশ্রয় নিয়েছে উঁচু রাস্তার উপরে। অনেকেই এখনো আটকা পড়ে আছে পস্নাবিত এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছে ভাঙনকবলিত গ্রামগুলোর প্রায় ২৫% লোক আটকা পড়ে আছে।
পাউবো কুমিলস্নার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ওই স্থানের নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল। স্থানীয়রা বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত পৌনে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। নদীর বাঁধে আশেপাশের শতাধিক পরিবার ঘর থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বুড়বুড়িয়া গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা বাড়িঘর হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে আছে। বুড়বুড়িয়া গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, রাত সাড়ে ১১টায় নদীর পানিতে হঠাৎ শো শো শব্দ শুরু হয়। তারপর বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। প্রথমে বাঁধটি ১০ ফুটের মতো ভাঙে। তারপর ২০ ফুট করে বড় আকারে ভেঙে পড়ে।
মহিষমার গ্রামের গৃহবধূ ফাহিমা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার ১০ বছরের সাজানো গোছানো সংসার গোমতী কেড়ে নিয়ে গেল। সোমা রানী বলেন, কোলের বাচ্চাটা নিয়ে সারারাত না ঘুমিয়ে ছিলেন। বাড়িঘর সব ডুবে গেল পানিতে। এখন কই থাকবেন সেই ভাবনা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
গোমতীর বাঁধের ভান্তি, কামারখাড়া, বালিখাড়া অংশে পাঁচ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। শিশুরা আতঙ্কিত অবস্থায় আছে। বন্যা আক্রান্ত পরিবারগুলোর মধ্যে দ্রম্নত খাবার পানি শুকনো খাবার প্রয়োজন। শিকারপুর গ্রামের মজিদ জানান, রাত থেকে পানি বাড়তে বাড়তে পুরো ঘরে পানি। সবাই কোনো রকম বের হয় হয়েছেন।
বুড়িচং ইউএনও সাহিদা আক্তার জানান, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ষোলনল, পীরযাত্রা পুর, সদর, ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পস্নাবিত হতে যাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকেই লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
পাউবো কর্মকর্তারা বলেন, '১৯৯৭ সালে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু গত দুই দিনে পানি বাড়ার হিসাব অতীতের রেকর্ড ভেঙে বৃহস্পতিবার বিকালে ১১৩ বিপৎসীমার সেন্টিমিটার অতিক্রম করে।'
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সেচ প্রকল্প এলাকায় বৃষ্টির পানিতে পস্নাবিত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক মাছের ঘের। মৎস্য চাষে দেশের চতুর্থতম উপজেলা এটি। ঘেরের চার পাশে জাল দিয়ে মাছ আটকে রাখার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। যে কারণে লাখ লাখ টাকার মাছ এখন পাশের ডাকাতিয়া নদীতে। এমন পরিস্থিতিতে ডাকাতিয়া নদীর পাড় এবং পাম্প হাউজের পাশে শত শত মানুষ ঘের থেকে বেরিয়ে আসা মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে।
সেচ প্রকল্প এলাকার বাগাদি, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, শত শত একরের মাছের ঘেরগুলো রক্ষায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। চারপাশে উঁচু করে জাল টানানো হচ্ছে। মাছের খাবার দেওয়া হচ্ছে। খামারিরা দিন ও রাতে মাছ রক্ষা কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলার সবচাইতে বড় মাছের ঘের হচ্ছে ধানুয়া গ্রামে ডাকাতিয়া নদীসংলগ্ন। এখানে ১৩ জন অংশীদারের ৪টি মাছের ঘের আছে। তারাই হচ্ছে উপজেলার মৎস্য খামারিদের মডেল। তাদের দেখাদেখি উপজেলায় অর্ধশতাধিক ছোট বড় মৎস্য খামার তৈরি হয়েছে।
এদের মধ্যে মূল উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় অর্ধশতাধিক মাছের ঘের আছে। এর মধ্যে ৪০ জন হচ্ছেন মাছের বড় খামারি। এসব খামারে কয়েকশ' কোটি টাকার মাছ আছে। আমরা কয়েক লাখ টাকার জাল দিয়েও মাছ রক্ষা করতে পারি না। সব ডাকাতিয়া নদীতে চলে গেছে। আমরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন।
একই এলাকার খামারি হেলাল উদ্দিন কবির ও নাঈম জানান, তারা প্রায় ১৩ জন উদ্যোক্তা প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচ করে খামার করেছেন। রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ রয়েছে খামারে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক মাছ নদীতে চলে গেছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্প হাউজের দায়িত্বরতদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের সেকদি চরে দুটি ঘের। এর মধ্যে একটি পস্নাবিত। আরেকটি রক্ষায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। ওই খামারের দায়িত্বরত প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বলেন, আরও কয়েকদিন বৃষ্টি হলে এই ঘেরের মাছও রক্ষা করা যাবে না। এই খামারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, 'বৃষ্টি মৌসুমের পূর্ব থেকেই আমরা উপজেলা মৎস্য খামারিদের নেট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি। সে আলোকে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। তার পরেও গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।'